Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ রবিবার, মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রকাশ্যে গাঁজা বিক্রি শুরু, ক্রেতাদের ভিড়!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ০২:৫২ PM
আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৮, ০৩:২২ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


কানাডা হলো প্রথম কোন শিল্পোন্নত দেশ যেখানে বিনোদনের জন্য গাঁজার ব্যবহার বৈধ করে দেশটির সংসদে একটি বিল পাস করা হয়। তবে এর আগে চিকিৎসায় রোগের উপশম হিসেবে এই দেশটি ২০১১ সালেই গাঁজা ব্যবহারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল।

সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ বুধবার স্থানীয় সময় মধ্যরাত থেকে কানাডার সব বাজারে প্রকাশ্যে গাঁজা বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

তবে গাঁজা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের অবশ্যই সর্বনিম্ন ১৮ বছর বয়স হতে হবে। এছাড়া গাঁজা সেবনের পর গাড়ি চালানোর মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করা যাবে না।

গাঁজা বিক্রি শুরু হওয়ায় বিভিন্ন দোকানের সামনে মধ্যরাতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়। বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে এবার প্রকাশ্যে গাঁজা ব্যবহার এবং বিক্রির জন্য অনুমোদন দিলো কানাডার সরকার। এর আগে উরুগুয়েতে এটিকে সম্পূর্ণ বৈধ করা হয়েছিল।

প্রকাশ্যে গাঁজা বিক্রির কার্যক্রম অনুমোদিত হলেও জনস্বাস্থ্য, আইন এবং জন নিরাপত্তার ওপর এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।

গাঁজা সেবনের পর কেউ যেন গাড়ি চালাতে না পারে সেজন্য সতর্ক রয়েছে সেখানকার পুলিশ। এদিকে কানাডার কোনো কোনো স্থানে প্রকাশ্যে গাঁজা বিক্রি এবং সেবন করা হবে তা শীঘ্রই নির্ধারণ করবে দেশটির প্রদেশগুলো।

উল্লেখ্য, ক্যানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ব্রিটিশ কলাম্বিয়া, বিশেষভাবে তৃতীয় বৃহত্তম শহর ভ্যাঙ্কুভারে গাঁজা ব্যবহারের চল রয়েছে বহুদিন ধরে।

ভ্যাঙ্কুভারকে বলা হয় কানাডার গাঁজার রাজধানী। বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাঁজার ফার্মও রয়েছে এই শহর থেকে সামান্য দূরে ফ্রেজার ভ্যালিতে। যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তের কাছাকাছি এটি।

ক্যানোপি গ্রোথ হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে গাঁজা চাষে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোম্পানি। গাঁজা ফার্মের পরিবেশ খুবই নিয়ন্ত্রিত। এখানে ঢুকতে হলে উপযুক্ত পোশাক পড়তে হয়, মাথায় নেট পড়তে হয়, বুট এবং গ্লাভস পড়তে হয়।

এই ফার্মে প্রায় এক লক্ষ টব রয়েছে যেখানে বিভিন্ন বয়সের গাঁজা গাছের চারা রয়েছে।

মাথার ওপর দিনরাত জ্বলছে হাজার হাজার ইলেকট্রিক বাল্ব। দিনের মতো আলো ছড়াচ্ছে এগুলো।

আর রয়েছে বহু ধরনের টিউব, যেগুলো থেকে গাঁজা গাছে পানি, তরল পুষ্টি এবং কার্বন ডাই-অক্সাইড সরবরাহ করা হচ্ছে।

রোগ উপশমে কিভাবে গাঁজা ব্যবহার করা হচ্ছে তা দেখা গেল ভ্যাঙ্কুভার থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে এক মেডিকেল ক্লিনিকে।

এদিকে হিলারি ব্ল্যাক হলেন ক্যানোপি গ্রোথ-এর রোগীদের শিক্ষা এবং প্রচার বিভাগের পরিচালক। 

তিনি বলছেন, একবার এক মহিলার সাথে তার দেখা হয়েছিল। আর্থ্রাইটিস রোগে তিনি শয্যাশায়ী ছিলেন। তিনি তার বাড়িতে গিয়েছিলেন এবং একসাথে বসে গাঁজা খেয়েছিলেন। ঐ রোগীর ওপর গাঁজার প্রতিক্রিয়া ছিল বিস্ময়কর।

সেবনের কিছুক্ষণ পর তিনি তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নাড়াচাড়া করতে শুরু করলেন। হাত-পা ছড়িয়ে দিতে শুরু করলেন। এবং তিনি কেঁদে ফেললেন।

আইন তাকে এতদিন এই ভেষজ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে এটা মনে করে তিনি খুবই ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন বলে জানালেন হিলারি ব্ল্যাক।

Bootstrap Image Preview