নিখোঁজ সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি ইস্যুতে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশেষ আলোচনার জন্য তাকে সৌদি আরব ও তুরস্ক সফরে পাঠান ট্রাম্প।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে খাশোগির বিষয়ে টেলিফোনে সৌদি বাদশার যে আলোচনা হয়েছে সেটিকে আরও এগিয়ে নিতেই সৌদি সফরে এসেছেন পম্পেও।
সোমবার টুইটারে ট্রাম্প বলেন,‘এইমাত্র খাশোগি বিষয়ে সৌদি আরবের বাদশাহ’র সঙ্গে কথা বললাম। তিনি কোন কিছু জানার কথা অস্বীকার করেছেন। আমি দ্রুত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাদশাহ’র কাছে পাঠাচ্ছি।’
সম্প্রতি তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সৌদি আরবের ওপর চটে আছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খাশোগি ইস্যুতে ট্রাম্প একদিকে বলেছেন সৌদি আরব জড়িত থাকলে কঠোর শাস্তি দেবেন, আবার একই সঙ্গে সৌদি আরবের সঙ্গে করা লোভনীয় অস্ত্রচুক্তি বাতিলের সম্ভাবনাও নাকচ করে দিয়েছেন তিনি। এমন প্রেক্ষাপটে সৌদি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ চলছে ট্রাম্পের ‘বিশেষ দূত’ পম্পেও’র।
রিয়াদে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গেও দেখা করবেন মাইক পম্পেও। এরপর তুরস্কের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবেন তিনি।
অক্টোবরের ২ তারিখে কনস্যুলেটে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার কলাম লেখক ও স্বেচ্ছা-নির্বাসিত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগি। তুরস্ক বলছে একইদিন সৌদি আরব থেকে ইস্তাম্বুল আসা সৌদি গোয়েন্দাদের ১৫ সদস্যের একটি দল কনস্যুলেটের ভেতরে ঢুকে খাশোগিকে খুন করেছে।
তবে সৌদি আরব অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, কাজ শেষে কনস্যুলেট ত্যাগ করেছেন খাশোগি। যদিও দাবির স্বপক্ষে কোন প্রমাণ হাজির করতে পারেনি দেশটি।
খাশোগি দীর্ঘদিন ধরে গ্রেপ্তার এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন। সৌদি রাজতন্ত্রের কঠোর সমালোচক ছিলেন তিনি।