সিরিয়ার সর্বশেষ বিদ্রোহী ঘাঁটি ইদলিবের পরিকল্পিত একটি নিরাপদ অঞ্চল দিয়ে বিদ্রোহীদের চলে যাওয়ার জন্য বেধে দেয়া হয়েছিল। সময়সীমা সোমবার শেষ হয়ে গেলেও তাদের সেখান থেকে চলে যাওয়ার কোন নিদর্শন পাওয়া যায়নি। মানবাধিকার বিষয়ক সিরীয় পর্যবেক্ষণ সংস্থা একথা জানায়।
ব্রিটিশ ভিত্তিক ওই সংস্থা জানায়, মধ্যরাত নাগাদ এ নিরাপদ এলাকা দিয়ে বিদ্রোহীদের চলে যেতে দেখা যায়নি। এদিকে বিদ্রোহী বেধে দেয়া সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে।
সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশে সরকারি বাহিনীর অভিযান ঠেকাতে রাশিয়া-তুরস্ক মধ্যস্থতা চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সকল বিদ্রোহীর চলে যাওয়া ছিল দ্বিতীয় ও শেষ শর্ত।
গত সাত বছরে যে জিহাদি সংগঠন ও বিদ্রোহী দলগুলো সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে উৎখাত করার চেষ্টা করেছে, তাদের সবশেষ শক্ত ঘাঁটি এই ইদলিব। জাতিসংঘের বক্তব্য অনুযায়ী, ইদলিবের মোট জনসংখ্যা প্রায় ২৯ লাখ, যাদের মধ্যে ১০ লাখই শিশু। ইদলিবের বেসামরিক নাগরিকদের অর্ধেকের বেশি এসেছে একসময় বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সিরিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে। যুদ্ধের সহিংসতা থেকে বাঁচতে সেসব জায়গা থেকে তারা হয় স্বেচ্ছায় পালিয়ে এসেছে, অথবা তাদের বাধ্য করা হয়েছে এলাকা ছাড়তে।
ইদলিব প্রদেশের উত্তরে রয়েছে তুরস্কের সীমান্ত। আর দক্ষিণ-পশ্চিমের একটি অংশ জুড়ে রয়েছে আলেপ্পো থেকে হামা হয়ে রাজধানী দামেস্ক যাওয়ার মহাসড়ক। আর এর পূর্বদিকে ভূমধ্যসাগরের উপকূলীয় শহর লাটাকিয়া। ইদলিবের নিয়ন্ত্রণ যদি সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর হাতে চলে আসে তাহলে সিরিয়ায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কয়েকটি ক্ষুদ্র অঞ্চল বাদে আর কোথাও বিদ্রোহীদের ঘাঁটি থাকবে না। অর্থাৎ বিদ্রোহীরা কার্যত পরাজিত হবে।