Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৬ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

স্ত্রী ও ছেলেকে গুলি করে বিচারককে ফোন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০১৮, ১০:০৬ AM
আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০১৮, ১০:০৬ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


‘আপনার স্ত্রী-ছেলেকে গুলি করেছি স্যার’। তার পরই ফোনটা কেটে গেল। শনিবার ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের গুরুগ্রাম শহরে দুজনকে গুলিবিদ্ধ করে এভাবেই বিষয়টি অতিরিক্ত দায়রা জজ কৃষ্ণকান্ত শর্মাকে জানালেন তার দেহরক্ষী মহীপাল সিংহ। এনডিটিভি, আনন্দবাজার।

গত দু’বছর ধরে বিচারকের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী হিসাবে কাজ করছেন মহীপাল। শনিবার বিকেলে শপিং করতে যাবেন বলে ছেলেকে নিয়ে গাড়িতে করে বেরিয়ে ছিলেন বিচারকের স্ত্রী রীতু। সঙ্গে মহীপালও ছিলেন। গুরুগ্রামের সেক্টর ৪৯-এর সামনে বাজারে গাড়ি থেকে নামার পরই বিচারকের স্ত্রী রীতু ও ছেলে ধ্রুবকে লক্ষ্য করে গুলি চালান মহীপাল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মহীপাল তাঁর সার্ভিস রিভলভার থেকে প্রথমে বিচারকের স্ত্রীর বুকে গুলি করেন, তার পর ছেলের মাথা লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন।ধ্রুবের মাথায়, কান ও ঘাড়ে গুলি লাগে। রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে সে। এর পরই ধ্রুবকে টেনে গাড়ির ভিতর ঢোকানোর চেষ্টা করেন মহীপাল। কিন্তু না পেরে তাঁদের দু’জনকে রাস্তায় ফেলে রেখেই গাড়ি নিয়ে চম্পট দেন।

পরে রিতু ও ধ্রুবকে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারা বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তারা আশঙ্কামুক্ত।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, বিচারকের স্ত্রী-ছেলেকে গুলি করার পর মা এবং আরও পরিচিত কয়েক জনকে ফোন করে বিষয়টি জানান মহীপাল। সন্ধ্যায় তাঁকেগুরুগ্রাম-ফরিদাবাদ রোড থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন মহীপাল। কেন গুলি করলেন তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

হরিয়ানার মহেন্দ্রগড়ের বাসিন্দা মহীপালের বাড়িতে মা, স্ত্রী ও দুই সন্তান আছে। তাঁর স্ত্রী শিক্ষিকা। গ্রামবাসীরা জানান, মামাবাড়িতেই মানুষ হয়েছেন মহীপাল। বাবা মদ্যপ হওয়ার কারণে তাঁর জন্মের আগেই মা বাপের বাড়িতে চলে আসেন। সেখানেই জন্ম হয় মহীপালের। ছোটবেলা থেকেই খুব রাগী স্বভাবের তিনি। ২০০৭-এ হরিয়ানা পুলিশে যোগ দেন মহীপাল। কিন্তু গ্রামের ছেলে যে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে বসেছে সেটা যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না গ্রামবাসীরা।

Bootstrap Image Preview