Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৭ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পাঙ্গাস মাছ না খাওয়ার কারণ খুঁজে পেয়েছে গবেষকরা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ০৭:১১ PM
আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ০৭:১১ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি)রএকোয়াকালচার বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক ও কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. নিল ও জি জরজেনসন এর তত্ত্বাবধানে গত ৩ বছর ধরে পাঙ্গাস মাছ নিয়ে গবেষণা করছেন পিএইচডি গবেষক শেখ রাজিবুল ইসলাম।

রবিবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) একোয়াকালচার বিভাগের আয়োজনে পাঙ্গাস মাছের দুর্গন্ধ এবং মাসেলের হলুদ রং এর কারণসমূহ শীর্ষক এক সেমিনারে এর কিছু তথ্য তুলে ধরেন শেখ রাজিবুল ইসলাম।

তিনি বলেন, একোয়াকালচারভিত্তিক মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে পঞ্চম হওয়া সত্ত্বেও মৎস্য রফতানিতে আমাদের কোনো অবস্থান নেই। ভিয়েতনাম পাঙ্গাস রফতানির মাধ্যমে ইউরোপ-আমেরিকার বাজারে তাদের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। বহির্বিশ্বে পাঙ্গাসের ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও গুণগতমানের অভাবে আমরা রফতানি করতে পারছি না। পাঙ্গাসের মাংসে হলুদ রং ও দুর্গন্ধ আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানির ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা। রফতানি বাজারে পাঙ্গাসের অনুপস্থিতির কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্য কম থাকায় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ফলে বিপুল সম্ভাবনাময় এ মাছের উৎপাদন আজ হুমকির মুখে।

রাজিবুল জানান, মাছের দুর্গন্ধের জন্য মূলত পানির গুণগত মান এবং মাসেল হলুদ রঙের জন্য খাদ্যের উপকরণ দায়ী। খাবারের মধ্যে থাকা Zeaxanthin এবং Lutein নামক দুটি রাসায়নিক উপাদান মূলত হলদে রং এর জন্য দায়ী। খাদ্যে ব্যবহৃত ভুট্টা ও খৈল এ দুটি রাসায়নিকের প্রধান উৎস।

গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে খুব শিগগিরই গুণগত মান সমৃদ্ধ পাঙ্গাস মাছ উৎপাদন সম্ভব হবে এবং বহির্বিশ্বে রফতানি পথও সুগম হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

একোয়াকালচার বিভাগের প্রধান প্রফেসর মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম। এসময় মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ, পিএইচডি গবেষক ও মাস্টার্স ছাত্র-ছাত্রীগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আলোচকরা বলেন, এটি একটি যুগপোযোগী গবেষণা। বিদেশিরা সাদা মাসল বিশিষ্ঠ মাছ খেয়ে অভ্যস্ত তাই তারা হলুদ রঙের মাসেল পছন্দ করে না। পাঙ্গাসকে রফতানি উপযোগী করে উৎপাদনে জোর দিতে হবে। দেশের অভ্যন্তরেও ভোক্তা কটু স্বাদের কারণে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এজন্য আমাদের মাছের স্বাদ উন্নয়ন করতে হবে। পানির গুনাগুণ ও খাদ্যের মান ঠিক রাখলে এসব সমস্যা থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব। বাজারজাত করার পূর্বে মাছগুলোকে ভালোভাবে প্রক্রিয়াজাত করতে হবে।

Bootstrap Image Preview