ইয়ুথ এম্পাওয়ারমেন্ট ফোরামের এসডিজি অ্যাওয়ার্ড -২০১৮ প্রদান

জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ‘গ্লোবাল ডে অব অ্যাকশন-২০১৮’ উপলক্ষে আয়োজিত ইয়েফ এসডিজি এওয়ারনেস চ্যালেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড ২০১৮ প্রদান করা হয়েছে। ইউ এন এসডিজি ক্যাম্পেইনের বাংলাদেশ অ্যাকশন পার্টনার ইয়ুথ এম্পাওয়ারমেন্ট ফোরাম এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে।

গতকাল শনিবার রাজধানীর এডিএন এডু সার্ভিসেস মিলনায়তনে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার ‘গ্লোবাল ডে অব অ্যাকশন’। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও দিনটিকে উদযাপন করতে ইয়ুথ এম্পাওয়ারমেন্ট ফোরাম ‘ইয়েফ এসডিজি এওয়ারনেস চ্যালেঞ্জ’ নামক একটি ভিন্নধর্মী প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন সামজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জড়িত অলাভজনক সংঘঠন এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। দেশের নাগরিকদের ‘জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে প্রতিযোগীরা সমাজের প্রতিটি স্তরের নাগরিকদের সাথে তথ্য বিনিময় করে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তারা এই তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে এস ডি জি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার প্রয়াস চালায়।

অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকটি টিমের গ্রুপ ছবি নিয়ে শুরু হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ২০ হাজার ফেইসবুক ব্যবহারকারীর কাছে ইয়ুথ এম্পাওয়ারমেন্ট ফোরাম ‘জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’র মর্মকথা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়।

অংশগ্রহণকারীদের আরো জনহিতকর কাজে উদ্বুদ্ধ করতে সকলকে সার্টিফিকেট এবং বিজয়ী তিনটি দলকে সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট প্রদান করার উদ্যোগ নেয় সংগঠনটি।

প্রতিযোগিতায় ‘ও আর সি এল’, ‘কে এফ আই টি’ এবং ‘অনির্বাণ পাঠাগার’ যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করে।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যোগদান করেন বাংলাদেশ সিটিও ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তপন কান্তি সরকার এবং ইয়ুথ এম্পাওয়ারমেন্ট ফোরামের কাজী হাসান রবিনসহ প্রমুখ।

ইয়ুথ এম্পাওয়ারমেন্ট ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা কাজী হাসান রবিন বলেন, আজকের তরুণরাই নেতৃত্ব দিবে আগামীর। আর এর জন্যই প্রয়োজন তরুণদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, সঠিক দিক নির্দেশনা প্রদান। একটি সুন্দর আগামীর লক্ষ্যে ‘ইয়ুথ এম্পাওয়ারমেন্ট ফোরাম’ বিশ্বব্যাপী তরুণদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে।

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বমঞ্চে নিজেদের উপস্থাপন, নেতৃত্ব প্রদান ও আগামীর সুন্দর পৃথিবী গড়ার অংশীদার হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে সংগঠনটি। তারই অংশ হিসেবে সংগঠনটি ‘জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’র ‘অ্যাকশন পার্টনার’ হিসেবে কাজ শুরু করে। দেশের মানুষকে ‘জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ সম্পর্কে সচেতন করে তোলার কঠিন ও শ্রমসাধ্য কাজটি নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে ইয়ুথ এম্পাওয়ারমেন্ট ফোরামের স্বেচ্ছাসেবীবৃন্দ।