আত্রাইয়ে শতভাগ বিদ্যুতায়নে গ্রাহকদের জীবনযাত্রায় লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া

নওগাঁ আত্রাইয়ে পল্লী বিদ্যুতের শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্পন্ন হয়েছে। শতভাগ বিদ্যুতায়নের ফলে গ্রাহকদের জীবন যাত্রায় লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। যুগ যুগ থেকে অন্ধকারে থাকার পর আলোর স্পর্শে যেন উদ্বেলিত হয়ে উঠেছে হাজার হাজার গ্রাহক।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, জুলাই ২০১৭ থেকে এ পর্যন্ত উপজেলার ৮ ইউনিয়নের ২০৮ টি গ্রামে নতুন বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া হয়েছে। এসব নতুন সংযোগের ফলে উপজেলার আর কোন গ্রাম বিদ্যুৎ বিহীন থাকলো না। ইতোপূর্বে গ্রাহকদের নিকট বিদ্যুতের নতুন সংযোগ এক প্রকার সোনার হরিণ হলেও বর্তমানে তা অনেকটাই সহজলভ্য হয়েছে।

ভুক্তভুগীরা জানায়, বিদ্যুৎ বঞ্চিত এলাকাগুলোতে নতুন করে বিদ্যুতের সংযোগের নামে এক সময় ব্যাপক চাঁদাবাজি হয়েছে। একেকজন গ্রাহকের কাছ থেকে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা করে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে। যেহেতু বিদ্যুৎ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়ক। তাই গ্রাহকরা এ উচ্চমূল্য দিয়েও বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েছেন।

কিন্তু বর্তমানে “প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ” এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তৎপর হওয়ায় দালালদের দৌরাত্ম্য নেই বললেই চলে। ফলে সহসাই এখন বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছেন নতুন গ্রাহকরা। 

উপজেলার খরসতি গ্রামের ময়নুল হোসেন বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন থেকে বিদ্যুৎ বঞ্চিত ছিলাম। উপজেলার সব গ্রামে বিদ্যুতায়ন হলেও আমরাই বিদ্যুৎ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত ছিলাম। কিছুদিন আগে আমরা বিদ্যুতের নতুন সংযোগ পেয়েছি। এতে করে আমরা গ্রামবাসী চরম আনন্দিত।’

নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি আত্রাই জোনের এরিয়া পরিচালক মহাতাব উদ্দিন বলেন, ‘আমি পরিচালক হওয়ার পর থেকে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস দালাল মুক্ত করেছি। গ্রাহকরা যাতে কোন প্রকার হয়রানীর শিকার না হয় এ জন্য দ্রুত সেবা নিশ্চিত করেছি।’

এ ব্যাপারে আত্রাই পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের আত্রাই জোনের এজিএম ফিরোজ জামান জানান, ‘নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে কেউ যাতে দালালের খপ্পড়ে না পড়ে এ জন্য আমরা এলাকায় পোষ্টারিং ও মাইকিং করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ বাস্তবায়নে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। কেউ যাতে প্রতারণার শিকার না হয় এ জন্য প্রত্যেককে সরাসরি অফিসে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে।’ 
তিনি আরো জানান, ‘গত জুলাই ২০১৭ হতে নিরলসভাবে কাজ করে আমরা এ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করতে সক্ষম হয়েছি। এ ছাড়াও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকূপে ১৫ টি এবং শিল্পকারখানায় ৩ টি নতুন সংযোগ দেয়া হয়েছে। যার সুফল গ্রাহকসহ এলাকাবাসী ভোগ করছেন। আর এসব সংযোগে কেউ কোন প্রকার হয়রানীর শিকার হয়নি বা অতিরিক্ত অর্থ দিতে হয়নি। বর্তমানে উপজেলার সব কয়টি গ্রামে আমরা বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি।’