Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে টেকনাফ-কুতুবদিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:৩৬ PM
আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৮, ০৫:৩৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র কারণে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে বেশকিছু ঘরবাড়ি প্লাবিত ও বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। কুতুবদিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেড়িবাঁধ, আমন ফসলি ও শীতকালীন সবজির আবাদ।

বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’র প্রভাবে সাগর উত্তাল ও পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় এ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এমনিতেই সমুদ্রে সংকেত ছিল। এরমধ্যে সারাদিন বৃষ্টি ও সাগরও বেশ উত্তাল ছিল। তাই জোয়ারের সময় পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ উচুতে ঢেউ আঁচড়ে পড়ে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় শাহপরীরদ্বীপের মাঝের পাড়া, দক্ষিণপাড়া ও জাইল্যাপাড়া এলাকার ত্রিশ-চল্লিশটি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েকটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনের কধা জানিয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসান জানান, শাহপরীর দ্বীপের শুধুমাত্র মাঝের পাড়ায় ৩৪টি বসতঘর প্লাবিত এবং দুটি বসত ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থদের তাৎক্ষণিক ২০ কেজি করে চাল এবং কিছু শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে কুতুবদিয়ার কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে,তিতলির প্রভাবে জোয়ারের পানি ঢোকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় আমন ও শীতকালীন সবজির খেত নষ্ট হয়ে গেছে।

কুতুবদিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আশিক জামিল মাহমুদ জানান, উপজেলার ছয় ইউনিয়নে চলতি মৌসুমে ৩ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে জোয়ারের পানিতে ৫০ হেক্টর জমির আমন খেত নষ্ট হয়েছে। পানিতে আরও তলিয়ে গেছে প্রায় ২৫০ হেক্টর জমির শীতকালীন শাকসবজি ও ৩০ হেক্টর জমির বীজতলা।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ ড. মো. শহিদুল ইসলাম জানান, কক্সবাজারে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি বাতাসের তীব্রতা বাড়ার সম্ভাবনা থাকায় উপকূলের লোকজনকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

Bootstrap Image Preview