ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের(ঢাবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করে খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছেন।
১০০টি হাতে লেখা উত্তরসহ একসেট প্রশ্নপত্র একজন সাংবাদিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক সোহেল রানাকে সরবরাহ করেন।
আজ শুক্রবার সকাল দশটায় বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে ৮১টি কেন্দ্রে ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা চলাকালীন সাড়ে ১০টার একটু আগে ১৪ পৃষ্ঠা হাতে লেখা উত্তরসহ একটি প্রশ্নপত্র সাংবাদিকদের হাতে আসে। সেটি সাংবাদিকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সোহেল রানাকে দেখান। পরীক্ষা শেষে হাতে লিখিত প্রশ্নপত্রের সঙ্গে অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মিল পাওয়া যায়।
এর আগে একই প্রশ্নপত্র সকাল ৯টা ১৭ মিনিটে ফেসবুক মেসেঞ্জারে অনেকের কাছে এসেছিল।
জানা গেছে, বাংলায় ১৯টি, ইংরেজিতে ১৭টি এবং সাধারণ জ্ঞান ৩৬টি (বাংলাদেশ ১৬, আন্তর্জাতিক ২০) মিলে মোট ৭২টি প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁস নয়, এটা ডিজিটাল জালিয়াতি হতে পারে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত করে দেখবে।’
এর আগেও গত বছর ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। বিশ্ববিদ্যালয় এটাকে ডিজিটাল জালিয়াতি বলে আখ্যায়িত করে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করে।
সেই কমিটির প্রধান ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরীন আহমাদ। কিন্তু এক বছরেও সেই তদন্ত শেষ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
এ বছর ‘ঘ’ ইউনিটে ১৬ হাজার ১৫টি আসনের বিপরীতে (বিজ্ঞানে- ১১৫২টি, বিজনেস স্টাডিজে- ৪১০, মানবিকে- ৫৩টি) ভর্তিচ্ছু আবেদনকারীর সংখ্যা ৯৫ হাজার ৩৪১জন। অর্থাৎ প্রতি আসনে লড়ছেন ৫৯ জন শিক্ষার্থী। পরীক্ষার কেন্দ্রে মোবাইল ফোন বা টেলিযোগাযোগ করা যায় এমন কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিষিদ্ধ করা হয়েছে।