জাতিসংঘের মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পদ থেকে এ বছরের শেষে ইস্তফা দেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত কূটনীতিক নিকি হ্যালি। আগামী ডিসেম্বরে তাঁর পদত্যাগ কার্যকর হলে এ পদে কে আসতে যাচ্ছেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর ইচ্ছার কথা প্রকাশ করে বলেছেন, তাঁর মেয়ে ইভানকা এ পদে ‘ডিনামাইটের’ মতো কাজ করতে পারবেন। ইভানকা নিজেও এ পদে কাজ করতে আগ্রহী নন। আর এর পরিবর্তে ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকাকে ওই পদে বসানোর চিন্তা করছেন ট্রাম্প, এমনটিই দাবি সংবাদমাধ্যমের।
অবশ্য ট্রাম্প নিজেই বলেছেন, ওই পদে ইভানকা যোগ্যতম। তবে তার মানে এটি নয় যে, ওকে আমি বেছে নিচ্ছি।
তবে মঙ্গলবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প এক টুইটবার্তায় জানিয়েছেন, তিনি নিকি হ্যালির স্থলাভিষিক্ত হতে রাজি নয়।
ইভানকা লেখেন- আমি জানি প্রেসিডেন্ট ওই পদে একজন দুর্দান্ত ব্যক্তিকে স্থলাভিষিক্ত করবেন। তবে সেটি আমি না, ওই পদে আসবেন অন্য কেউ।
তিনি আরও লেখেন- হোয়াইট হাউসে কাজ করাটা অত্যন্ত গর্বের। আশা করব, নিকির পর যোগ্য কেউই যাবেন রাষ্ট্রপুঞ্জে, আমি আগ্রহী নই।
তবে এ যাত্রায় ট্রাম্প হ্যালির ব্যাপক প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘নিকি আমার খুব ভালো বন্ধু। গত কয়েক বছরে আমরা সত্যিকারের বন্ধু হয়ে উঠেছি। তিনি (জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পদে) দুর্দান্ত কাজ করেছেন। তিনি আমাদের সঙ্গেই থাকছেন। ডিনা আছেন। নিশ্চিতভাবেই আরো অনেকেই আছেন। আমার কাছে বহু নাম আছে।’
পরবর্তী নিয়োগ প্রসঙ্গে নিজের জ্যেষ্ঠ কন্যার প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্প বলেন, ‘ইভানকা ডিনামাইটের মতো কাজ করবে। এতে স্বজনপ্রীতির কিছু নেই। তবে আমি আপনাদের বলতে চাই, মানুষ জানে ইভানকা ডিনামাইট। কিন্তু আপনারা এও জানেন যে সে ক্ষেত্রে আমার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ আনা হবে।’
ইভানকা নিজেও অবশ্য এ পদে কাজ করতে আগ্রহী নন। তিনি বলেন, হোয়াইট হাউসে কাজ করতে পেরে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন। ‘প্রেসিডেন্ট অবশ্যই জাতিসংঘের রাষ্টদূত পদে গ্রহণযোগ্য কারো নাম ঘোষণা করবেন এবং সেটি অবশ্যই আমি নই।’