Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাংলাদেশে নয়, ভারতে আঘাত হানবে তিতলি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০১৮, ১০:১০ PM
আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৮, ১০:১০ PM

bdmorning Image Preview


বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’ বাংলাদেশের ওপর সরাসরি কোন প্রভাব ফেলবে না। পরোক্ষ প্রভাব হিসেবে বাতাস ও গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। তবে ‘তিতলির’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে (বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১১৭ কিলোমিটারের বেশি) রূপ নিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের গোপালপুরে আঘাত হানবে।

আবহাওয়া অফিদফতর এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তিতলির কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বুধবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা দিকে তিতলি কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি ধীরে ধীরে আর উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। আগাম সতর্কতার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে সব ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে। উপকূলীয় অঞ্চলের প্রশাসনও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। তিতলির প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় আবহাওয়া অধিদফদর সমুদ্রবন্দরগুলো ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে।

এদিকে ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যাওয়া পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এ সময় বজ্রসহ বৃষ্টিপাতও হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এসব এলাকায় ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।

আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড়টি ব্যাপক ক্ষমতাসম্পন্ন হলেও শঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কেননা, বাংলাদেশে এটি সরাসরি আঘাত হানবে না। পরোক্ষভাবে আঘাত হানবে। এক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) সকাল নাগাদ ভারতের উড়িষ্যা-অন্ধ্র প্রদেশে আঘান হানবে। এরপর শক্তিক্ষয় করে এটি পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের ভেতরে খুলনা অঞ্চলে দুর্বল অবস্থায় আসবে শনিবার (১৩ অক্টোবর)। এ সময় নিন্মচাপের কারণে আকাশ মেঘাছন্ন থাকবে।

তিনি আরও বলেন, ভারতে আঘাত হানলেও বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) ও শুক্রবার (১২ অক্টোবর) দেশের ওপর দিয়ে বাতাসের গতিবেগ বাড়বে। একইসঙ্গে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টিপাতও বাড়বে। যা শনিবার কমার প্রবণতায় থাকবে।

প্রসঙ্গত, বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) অধীন জাতিসংঘের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সাগর তীরের আট দেশের (বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ভারত, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা এবং ওমান) আবহাওয়াবিদদের সংস্থা এস্কেপ ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়ে থাকে। ‘তিতলি’ নামটি পাকিস্তানের দেয়া। তিতলি অর্থ- সুন্দর পাখার প্রজাপতি।

Bootstrap Image Preview