পাচঁবিবি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি উপজেলার সেচ প্রকল্প, ক্ষুদ্র, মাঝারী ও বৃহৎ শিল্পকারখানাসহ অন্যান্য স্থাপনা এবং গ্রামীণ জনগণের মাঝে দ্রুত বিদ্যুৎ ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে জনজীবন বহুমূখী উন্নয়নের প্রসার ঘটিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের অভিযোগ দ্রুত নিরসন, সিস্টেম লস হ্রাস, বৈদ্যুতিক দূর্ঘটনা প্রতিরোধ, বিদ্যুৎ চুরি রোধ, দ্রুত সংযোগ প্রদান, দৈনন্দিন ব্যয় হ্রাস, শ্রদ্ধাচার ইত্যাদির মাধ্যমে স্বচ্ছ ও গ্রাহকবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিনিত হয়েছে। পাচঁবিবিতে ১৯৯৮ সাল থেকে এ সমিতির পল্লী বিদ্যুতের কার্যক্রম শুরু করে।
পাচঁবিবি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিতরণ উপকেন্দ্রের ক্ষমতা ২৫/৩০এমভিএ। সমিতি এ পযর্ন্ত ২ উপকেন্দ্রের মাধ্যমে ১হাজার ২শ কি:মি: বিদ্যুৎ লাইনের সাহায্যে সত্তর হাজার বিভিন্ন শ্রেণির গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে। এর মধ্যে আবাসিক গ্রাহক ৬ হাজার ২২শ,বানিজ্যিক ৩ হাজার ৪শ,গভীর নলকূপ ৫শ, অগভীর নলকূপ ১১শ ও অন্যান্য ২ হাজার গ্রাহক রয়েছে।
পাচঁবিবি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সেচ প্রকল্পে বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে এ উপজেলায় কৃষি ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা এবং কৃষকের ঘরে এখন অভাব না থাকার পিছনে এ সমিতির ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। পাচঁবিবির গ্রামাঞ্চলে হাস মুরগীর খামার, গরু ছাগলের প্রতিপালন,ডেইরি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করে অনেকেই বেকারত্ব ঘুচিয়ে সাবলম্বী হয়েছেন।
শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় নিঝুম পল্লী এলাকায় বিদ্যুৎ পৌছানোর ফলে শিক্ষা ও সাংস্কৃতির ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। শিল্প কারখানা স্থাপিত হওয়ার ফলে বহু লোকের কর্মস্থানের সৃষ্টি হয়েছে এবং বেকারত্ব কমায় জনগণ আর্থিকভাবে সফলতা লাভ করছে। এছাড়াও বিদ্যুতের আলোয় ঘরে ঘরে মোবাইল ফোনসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যাপক প্রসার লাভ করছে।
এখনকার মানুষ ঘরে ঘরে বসেই আবেদন করেই বিদ্যুতের সংযোগ পাচ্ছে এবং এসএমএস এর মাধ্যমে বিল পরিশোধ করতে পারছে। বিদ্যুৎ সুবিধার কারণে মানুষের সেবা খাত এখন অনেকটাই হাতের নাগালেই চলে এসেছে।
পাচঁবিবি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম গোবিন্দ চন্দ্র দাস ও সমিতির জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার এনতাজুল ইসলাম বলেন,পাচঁবিবির জনগণ এখন নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যুৎ পাচ্ছে। সুষ্ঠ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত হওয়ায় এ উপজেলার ব্যাপক শিল্প কারখানার ব্যাপক প্রসার হয়েছে এবং কৃষিতে বিদ্যুৎ সুবিধার কারণে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বপরি মানুষের আর্থ সামজিক অবস্থার উন্নয়ন হয়েছে । ভবিষ্যতেও পাচঁবিবির মানুষের বিদ্যুতের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তারা।