Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৫ বুধবার, মে ২০২৪ | ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রায়কে ঘিরে নাজিমউদ্দিন রোডে নিরাপত্তা জোরদার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০১৮, ১০:০০ AM
আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০১৮, ১০:১৩ AM

bdmorning Image Preview
ছবি: আবু সুফিয়ান জুয়েল


২১ আগস্টের বর্বরোচিত ও নৃশংস গ্রেনেড হামলা মামলার রায় আজ। রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে স্থাপিত ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক গ্রেনেড হামলার ঘটনায় আনা পৃথক দুই মামলার রায় ঘোষণা করবেন। প্রায় ১০ বছর বিচারিক কার্যক্রম শেষে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূর উদ্দীন এ রায়ের দিন ধার্য করেন।

রায়কে ঘিরে যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সে জন্য ঢাকাসহ সারাদেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নাজিমউদ্দিন রোডের বিশেষ আদালতের চারপাশের সড়কে কয়েকস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে পুলিশ সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করবে। শহরজুড়ে থাকবে গোয়েন্দা নজরদারি। সব মিলে রাজধানীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় পাঁচ হাজার সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় ঘিরে কোনো ধরনের হুমকি নেই। এ মামলায় বিচারক যে রায় ঘোষণা করবেন অবশ্যই তা কার্যকর হবে।

তিনি বলেন, রায় ঘিরে কোনো কিছু হবে না। অনেকে মনে করছেন শান্তি-শৃঙ্খলার অবনতি হবে, কিন্তু আমি মনে করি এগুলো কোনো কিছুই হবে না। ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, রায় ঘিরে নিরাপত্তার সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। কেউ যদি নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা করে তবে কঠোরভাবে তা দমন করা হবে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গ্রেনেড হামলার প্রধান টার্গেট ছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। শুরু থেকেই নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ভিন্ন খাতে নিতে নানা চেষ্টা করা হয়। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় নতুন করে তদন্ত শুরু হয়। বেরিয়ে আসে অনেক অজানা তথ্য। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় আনা দুই মামলায় আসামির সংখ্যা ৪৯ জন। এদের মধ্যে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, জঙ্গি মাওলানা তাজউদ্দিন আহমেদসহ ১৮ জন পলাতক রয়েছেন।

কারাগারে রয়েছেন, বিএনপি নেতা সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর, বিএনপি নেতা সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ৩১ জন। যুক্তিতর্ক শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতের কাছে দুই মামলার ৪৯ আসামির সর্বোচ্চ শাস্তির (মৃত্যুদণ্ড) আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেছেন, দেশের আপামর জনগণ এই মামলার রায়ের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।

উলেখ্য, দেশব্যাপী সন্ত্রাসবিরোধী ও বোমা হামলার প্রতিবাদে ১৪ বছর ৪৯ দিন আগে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ সমাবেশের আয়োজন করেছিল। এই সমাবেশ শেষ হওয়ার মুহূর্তে চালানো হয় পৈশাচিক গ্রেনেড হামলা। এ হামলায় নিহত হন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী ও মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী বেগম আইভী রহমানসহ ২৪ জন। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তত্কালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। আহত হন প্রায় ৪শ’ নেতা-কর্মীসহ সাধারণ মানুষ। এদের অনেকেই এখনও শরীরে গ্রেনেডের স্প্লি­ন্টার নিয়ে দুঃসহ জীবন কাটাচ্ছেন। 

Bootstrap Image Preview