Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিএনপিকে যে তিন শর্ত দিলেন ড. কামাল হোসেন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:৪৫ PM
আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:৪৫ PM

bdmorning Image Preview
ফাইল ছবি


আগামী ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের বাইরে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক জোট গড়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এ জোট গঠনে কলকাঠি নাড়ছেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও গণফোরাম সভাপতি ড.কামাল হোসেন ও বিকল্পধারার সভাপতি সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কি এম বদরুদ্দোজা। তাদের সাথে রয়েছেন মাহমুদুর রহমান মান্না, আ স ম রব, ডা. জাফরউল্লাহর মতো ব্যাক্তিরা।

স্বভাবতই এই জোটে অবস্থান নেবে শুধু সরকারবিরোধীরা। তেমনি বিএনপিকে সঙ্গে নিয়ে সরকারবিরোধী বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে আপত্তি নেই বিশিষ্ট আইনজীবী ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের।

তবে এ ঐক্য প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে তিনটি শর্ত জুড়ে দিয়েছেন তিনি। এমনটাই জানিয়েছেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও গণফোরাম সভাপতি ড.কামাল হোসেন।

প্রথমত, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য কোনোভাবেই আমরা (গণফোরাম) জোট করব না। বিএনপি জামায়াতকে নিয়ে এজোটে আসতে পারবে না।

দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে, জোটগতভাবে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করা যাবে না। বিএনপি নিজেদের মতো করে তাদের দলের প্রধানের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার থাকতে পারে, প্রয়োজনে আইনি লড়াইও অব্যাহত রাখতে পারে। এক্ষেত্রে ড. কামাল হোসেনকে জড়ানো যাবে না।

তৃতীয় শর্ত হচ্ছে জোটগতভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া যাবে না। বিএনপি চাইলে দলগতভাবে তারেক রহমানের প্রসঙ্গটি সামনে আনতে পারে। কিন্তু এর সঙ্গে জোটের কোনো সম্পর্ক থাকবে না। এই শর্ত মেনে বিএনপি যদি আমাদের জোটে আসতে পারে তাহলে আমরা তাকে গ্রহণ করব।

শর্তগুলো ইতোমধ্যেই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির জৈষ্ঠ্য দুই সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে গণফোরামের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে । এছাড়া সাত দফা লিখিত প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের কাছে।

ড. কামাল হোসেনের তিন শর্তের বিষয় নিশ্চিত করেছেন গণফোরামের নির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।

তিনি বলেন, প্রথম শর্ত হচ্ছে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য কোনোভাবেই আমরা (গণফোরাম) জোট করব না। বিষয়টি বিএনপিকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। ড. কামাল হোসেনের দ্বিতীয় শর্ত হচ্ছে, জোটগতভাবে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করা যাবে না। বিএনপি নিজেদের মতো করে তাদের দলের প্রধানের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার থাকতে পারে, প্রয়োজনে আইনি লড়াইও অব্যাহত রাখতে পারে। এ ক্ষেত্রে ড. কামাল হোসেনকে জড়ানো যাবে না।তৃতীয় শর্ত হচ্ছে জোটগতভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া যাবে না। বিএনপি চাইলে দলগতভাবে তারেক রহমানের প্রসঙ্গটি সামনে আনতে পারে। কিন্তু এর সঙ্গে জোটের কোনো সম্পর্ক থাকবে না। তিনি বলেন, বিএনপি তিন শীর্ষ নেতা আমাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। আমরা আমাদের কথা বলেছি, তারাও তাদের কথা বলেছে। আশা করি, যোগ-বিয়োগ করে আমরা একটি ঐকমত্যে পৌঁছুতে পারব।

সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এবং ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর সরকারবিরোধী জোট গঠনে সায় দিয়েছেন ড. কামাল হোসেন। গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, ভোটাধিকার রক্ষায় সব দলের অংশগ্রহণে আগামীতে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনসহ বিভিন্ন দাবিতে বিএনপির সঙ্গে জোট গঠনে আপত্তি নেই তার। তবে বিএনপিকে শর্তগুলো মেনে চলতে হবে।

Bootstrap Image Preview