সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জে কলু মিয়া নামে কথিত এক ভন্ডপীরের অসামাজিক কার্যকলাপ নিয়ে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় চলছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি এক প্রবাসীর স্ত্রী তার স্বামী কোনো প্রকার যোগাযোগ না করায় এই কথিত পীরের শরণাপন্ন হন।
কলু পীর ওই মহিলাকে ভয় দেখিয়ে বলেন, তাকে গোসল করিয়ে না দিলে প্রবাসে ওই মহিলার স্বামীর ক্ষতি হবে। ভয় পেয়ে ওই মহিলা কলু পীরকে গোসল করাতে গেলে তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরবর্তীতে ওই মহিলা গর্ভবতী হয়ে পড়লে কলু পীর তাকে ভয় দেখিয়ে নিজের বাড়িতে এনে দীর্ঘ চার মাস আটকে রাখেন। পরে কলু পীরের এক স্ত্রী ও শ্যালিকার সহায়তায় তাকে অজ্ঞান করে এক নার্সের বাসায় নিয়ে গর্ভপাত করানো হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ফেঞ্চুগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। কথিত কলু পীরের বাড়ি উপজেলার ঘিলাছড়া ইউনিয়নের বাদেদৈউলী গ্রামে। সে দীর্ঘদিন ধরে পীর সেজে এমন অসামাজিক কাজ করছে বলে স্থানীয় এলাকাবাসী অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক সুহেল মাহমুদ জানান, ‘অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
তবে এ বিষয়ে কথিত পীর কলুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি। তিনি পলাতক রয়েছে বলে জানা যায়।