শরীয়তপুরে জেলার ভোজেশ্বর পূজা উদযাপন কমিটির অর্থ সম্পাদককে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে নড়িয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আতিয়ার রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গত শনিবার (৬ অক্টোবর) রাতে তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে শরীয়তপুর পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত সোমবার (১ অক্টোবর) রাতে এসআই আতিয়ার রহমান ৫-৬ জন পুলিশ সদস্য নিয়ে পাঁচক গ্রামের শ্যামল শীলের বাড়িতে যান। এ সময় শ্যামলের ছেলে পলাশ শীলকে (২৫) আটক করে পুলিশ। সেই সঙ্গে ঘরের জিনিসপত্র তল্লাশি করে ১৫ পিস ইয়াবা পাওয়া যায় বলে দাবি করেন এসআই আতিয়ার রহমান। পাশাপাশি পূজার জন্য তোলা পৌনে চার লাখ টাকা নিয়ে যান তিনি।
বিষয়টি স্থানীয় মুরব্বিদের জানালে তারা পরের দিন থানায় যোগাযোগ করেন। তখন এসআই আতিয়ার রহমান এক লাখ ৮০ হাজার টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেন। পরে বুধবার পলাশের পরিবার পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন।
নড়িয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি চন্দন ব্যানার্জি বলেন, পাঁচক দাসপাড়া সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির অর্থ সম্পাদক পলাশ। তার কাছে পূজার চাঁদার টাকা জমা ছিল। ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে তাকে আটকের সময় ঘর থেকে পৌনে চার লাখ টাকা নিয়ে যান এসআই আতিয়ার রহমান। স্থানীয়দের চাপের মুখে দুই লাখ টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেন আতিয়ার। পরে শনিবার সন্ধ্যায় সেই টাকা ফেরত দেন।
এ বিষয়ে নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মঞ্জুরুল হক আকন্দ বিডিমর্নিংকে জানান, ‘ইয়াবাসহ পলাশকে আটকের পর তার মা কল্পনা রানী পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এই বিষয়ে তদন্ত চলছে। পাশাপাশি এসআই আতিয়ার রহমানকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে পাঠানো হয়েছে। পলাশের পরিবারকে কিছু টাকা ফেরতও দেয়া হয়েছে।’