প্রবল ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে চলেছে বাংলার বুকে। ঘণ্টায় ২০০ কিমি বেগে ধেয়ে আসছে এই ঘূর্ণিঝড়। পশ্চিমবঙ্গ সহ বাংলাদেশের কিছু অংশে আঘাত হানবে এই ঘূর্ণিঝড়।
তথ্যে জানা যায়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে চলেছে বাংলার বুকে। আগামী ১১ অথবা ১২ অক্টোবর দক্ষিণ ২৪ পরগণার উপকূল ছুঁয়ে বাংলাদেশের খুলনা হয়ে ঘূর্ণিঝড়টি প্রবেশ করতে পারে সে দেশে। (সৌজন্যে -সিএন)।
এর জেরে ১০-১৪ অক্টোবর পর্যন্ত ওড়িশা, দক্ষিণবঙ্গ ও বাংলাদেশে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির সম্ভবনা। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গড় গতিবেগ থাকতে পারে ১৫০ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা। সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ১৮৫ থেকে ২০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়।
বর্তমানে আন্দামান সাগরের কাছে নিম্নচাপটি অবস্থান করছে। আগামী ১২ ঘন্টার মধ্যে সেটি সুষ্পষ্ট নিম্নচাপে পরিণত হবে। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিনত হবে। ঘন্টায় ১২ কিলোমিটার বেগে উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোচ্ছে ঝড়টি।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে প্রবল ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা। উপকূলর্বতী এলাকা বিশেষ করে, পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ঝড়ের ব্যাপক তাণ্ডব দেখা যেতে পারে।আগামী ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত মত্সজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
মার্কিন আবহাওয়া দফতরের হিসেব অনুযায়ী, এটি ক্যাটেগরি ২ নিম্নচাপে পরিনত হতে পারে বলে পূর্বাভাস।সমুদ্রে ৩২ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত ঢেউ উঠতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, মৌসুমি বায়ু বিদায় নেওয়ায় বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হবে, যার একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে।
এতে কয়েকটি নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও তা বিপদসীমার নিচেই থাকবে। গতকালের পূর্বাভাসে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে, আর কয়েকদিন পরই হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় পূজা দূর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর তাতে উৎসবমুখোর থাকে কলকাতা তথা এই পুরো পশ্চিমবঙ্গ। বাংলাদেশেও থাকে পূজোর আমেজ। আর সেই আমেজে বিপদের আশনি সংকেত নিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়। তাছাড়াও বাংলাদেশেও পড়তে পারে এর কিছু আঁচ।