Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

‘পুলিশ পেটানো’ মামলার আসামি পুলিশের গুলিতে নিহত

ক্রাইম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ অক্টোবর ২০১৮, ০৭:৪৬ PM
আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৮, ০৭:৪৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


রাজশাহীতে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আলমগীর হোসেন ওরফে আলো (৪৯) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত আলমগীর হোসেন শহরের একজন শীর্ষ মাদক কারবারি, সে পুলিশ পেটানো মামলারও আসামি বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

শনিবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে কাটাখালি থানার মধ্যচরে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সঙ্গে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

নিহত আলমগীর নগরীর মতিহার থানার ডাশমারি মহল্লার মোক্তার হোসেনের ছেলে।

আরএমপির মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী কমিশনার ইফতেখায়ের আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শনিবার দিবাগত রাতে পদ্মা নদীর চরে অস্ত্র ও চোরাচালানবিরোধী অভিযানে যায় নগর ডিবি পুলিশের একটি দল। তখন কয়েকজন ব্যক্তি পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে। আত্মরক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। কয়েক মিনিট দুই পক্ষের গোলাগুলির পর অন্যরা পালিয়ে যান। তবে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকেন আলমগীর হোসেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি শাটার গান, ১৯৮ বোতল ফেন্সিডিল ও দুটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়।

এদিকে আলমগীর হোসেনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলমগীরকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় থানায় তিনটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। এগুলোর মধ্যে একটি মামলা হবে পুলিশের ওপর হামলা, একটি অস্ত্র উদ্ধার এবং অপরটি মাদক উদ্ধারের ঘটনায়। এসব মামলায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

আরএমপির মুখপাত্র আরও বলেন, আলমগীর হোসেন শহরের একজন শীর্ষ মাদক কারবারি। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা ও মাদকসহ নানা অভিযোগে ১০টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ গত ২ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে ডিবি পুলিশের দুই সদস্যকে পিটিয়ে মাদকসহ আটক এক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছিলেন আলমগীর। নির্বাচনী হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছিলেন, তার বিরুদ্ধে চলমান মামলার সংখ্যা তিনটি। এগুলোর মধ্যে দুটি চোরাচালান ও একটি হত্যা মামলা।

Bootstrap Image Preview