Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কুয়াকাটায় শিক্ষক পরিবারের বসত ঘরে সন্ত্রাসীদের হামলা, নারীসহ আহত ৫

জাহিদ রিপন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ০১:৪৪ PM
আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ০১:৪৪ PM

bdmorning Image Preview


জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজের প্রভাষক, সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম শাহিন ও তার স্ত্রী শিক্ষিকা শাহিনুর বেগমের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা। এতে গুরুতর আহত হন শহিদুল ইসলাম শাহীন, তার স্ত্রী শাহিনুর বেগম, বড় ভাই মিলন, বাড়ির কেয়ারটেকার ও ভাড়াটিয়াসহ ৫জন।

আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় প্রভাষক শহিদুল ইসলাম শাহীনকে কুয়াকাটা হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মনিরুজ্জামান তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।

গতকাল শুক্রবার বিকালের এই ঘটনায় পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় আতংক ছড়িয়ে পরে। ঘটনার সময় মহিপুর থানা পুলিশকে অবহিত করা হলেও তাদের রহস্যজনক ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারসহ এলাকাবাসী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা ও আহত শাহিনুর বেগম জানান, পটুয়াখালী জেলা পরিষদ সদস্য আসলাম হাওলাদারের উপস্থিতিতে মুকুলের নেতৃত্বে নাছির, নুরআলম, জাকারিয়া জাহিদসহ অর্ধশতাধিক সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়। এসময় ৩টি সিসি টিভি ক্যামেরা, মনিটরসহ বসত ঘরের আসবাবপত্রে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়। বাড়িঘর দখলের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে ১২ লক্ষ টাকাসহ জমিজমার দলিল পত্র লুট করে নিয়ে গেছে হামলাকারীরা।

আহত প্রভাষক শহিদুল ইসলাম শাহীন সাংবাদিকদের জানান, ‘মুকুল নামে এক ব্যক্তির সাথে ব্যবসায়িক সূত্রে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধীয় জমি তার দাবি করে মুকুল আদালতে মামলা করে। মামলায় আদালত আমার পক্ষে রায় দেন। এরপর মুকুল বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিলো। এর আগেও একাধিকবার বাড়ি ঘর দখলের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, হামলার খবর শুনে কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ.এম. মিজানুর রহমান বুলেট ও কুয়াকাটা পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক শেখ ইসাহাক আলী উপস্থিত হয়ে তাকে রক্ষা করেন।

এ ব্যাপারে মুঠোফোনে পটুয়াখালী জেলা পরিষদ সদস্য আসলাম হাওলাদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি হামলা ভাংচুর ও মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘মুকুল ও শাহিনের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। ঘটনার দিন তার বাসায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কথা ছিল। আমরা সেখানে গেলে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে।’

এ বিষয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মাহবুব আলম জানান, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। আহত প্রভাষক শহিদুল ইসলাম শাহীন গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। আইনি প্রক্রিয়া চলছে।’

Bootstrap Image Preview