Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দর্শকদের পদচারণায় মুখোরিত ভোলার উন্নয়ন মেলা

এম. শরীফ হোসাইন, ভোলা প্রতিনিধি 
প্রকাশিত: ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ০১:০০ PM
আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৮, ০১:০০ PM

bdmorning Image Preview


দর্শকদের পদচারণায় মুখোরিত ভোলার ৪র্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলা। ভোলা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দর্শকদের উপচে পড়া ভীরের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হলো ভোলার উন্নয়ন মেলা।

গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় সাধারণ দর্শনার্থীদের ভীরে মুখোরিত ছিল মেলা। শহরের পাশাপাশি গ্রামের লোকজনও এই মেলা দেখতে আসেন। এ মেলায় সরকারী-বেসরকারী সর্বমোট ১শ’ ১০টি স্টল রয়েছে। এ সময় প্রতিষ্ঠান গুলো সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সাধারণ জনগণের সামনে তুলে ধরেন।

এরই ধারাবহিকতায় বিআরটিএ সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং যানবাহনের লাইসেন্সের টাকা জমা নেন। পাসপোর্ট অধিদপ্তর তাদের গ্রাহকদের তাৎক্ষনিক পাসপোর্টের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেন। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি তাদের কর্মকান্ড তুলে ধরেন। স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের কর্মকান্ডের পাশাপশি গ্রাহকদের প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা প্রদান করেন। কোষ্টগার্ড ও সাব রেজিষ্ট্রি অফিস তাদের কর্মকান্ড সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করেন। আয়কর বিভাগ তাদের করদাতাদের অফিসিয়াল কার্যক্রম মেলাতেই সম্পন্ন করেন। সড়ক বিভাগ ভোলাসহ সারা দেশের সরকারের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন এবং পদ্মাসেতু (ডামী) উত্থাপন করেন।
এভাবেই প্রত্যেকটি বিভাগ তাদের স্ব-স্ব কার্যক্রম এবং সরকারের নানান দিক তুলে ধরেন।

ইলিশা থেকে আসা শফিকুল ইসলাম নামের এক দর্শনার্থী বলেন, ‘মেলার নিরাপত্তা এবং সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড আমাদের মত সাধারণ মানুষ দেখতে পেরে অনেক আনন্দ পেয়েছি। এভাবে যদি সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সাধারণ মানুষের মাঝে তুলে ধরে তাহলে জনগণ উপকৃত হবে।’

শহরের উকিলপাড়া নিবাসী আমিনুল ইসলাম জানান, মেলার সার্বিক ব্যবস্থা সুন্দর, তবে দর্শনার্থীদের হাটার জায়গা দিয়ে যেভাবে মটোরসাইকেলগুলো চলাচল করে এতে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই তিনি মেলা কর্তৃপক্ষকে মটরসাইকেল নিয়ে মেলাস্থলে যাতে প্রবেশ করতে না পারে এবং মটরসাইকেল অন্যস্থানে পার্কিং করার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

ফারজানা বেগম নামের এক দর্শনার্থী বলেন, মেলার সকল ব্যবস্থাপনা অনেক সুন্দর। শিশুদের জন্যও খেলা-ধুলার ব্যবস্থা রয়েছে। তাই শিশুসহ অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ লোকজনও মেলায় এসেছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ছিল চোখে পড়ার মত। তবে মেলাস্থলে লোকজন মটরসাইকেল নিয়ে প্রবেশ করছে, এটা বন্ধ করতে পারলে মেলার পরিবেশ আরো সুন্দর হতো।

এ বিষয়ে মেলার সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা এনডিসি নুরে আলম সিদ্দিকী বিডিমর্নিং-কে বলেন, ‘আমরা সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছি দর্শনার্থীদের সন্তুষ্ট করার। গতবছরও দুই গেইট বন্ধ থাকার পরও দু-চারটি মটোর সাইকেল প্রবেশ করেছে। এ বছরও প্রবেশ করছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে জেলা প্রশাসকের সাথে আলাপ করে আগামীকাল শনিবার তা বন্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

Bootstrap Image Preview