পাত্রের শখ বাদ্যযন্ত্র বাজানো। কিন্তু পাত্রীর পরিবার তা মোটেও পছন্দ করে না। যার কারণে আটকে গেল বিয়ে। আদালতের কাছে গিয়েও শেষমেশ পাত্রী তার পছন্দের মানুষটিকে জীবনসঙ্গী করতে পারলেন না। এমনই ঘটনা ঘটেছে সৌদি আরবে।
৩৮ বছর বয়সী ওই নারী পেশায় একজন ব্যাংকার। বিয়ের জন্য তিনি এক শিক্ষককে পছন্দ করেন। কিন্তু বিয়েতে বাদ সাধে মেয়ের পরিবার। মেয়ের স্বজনদের মতে, বাদ্যযন্ত্র বাজানোর কারণে এই ছেলে বিয়ের জন্য ধর্মীয় দিক থেকে অযোগ্য।
বিয়েতে পরিবারের মত না পেয়ে ওই নারী আদালতের দ্বারস্থ হন। কিন্তু আইনি লড়াইয়েও হেরে যান তিনি। আদালতে ওই নারীর ভাইয়ের পেশ করা তথ্যপ্রমাণে দেখা যায়, ছেলে একটি অনুষ্ঠানে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়েছিলেন। শেষে আদালত রায় দেন, ছেলে যেহেতু বাদ্যযন্ত্র বাজান, তাই ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি কনের উপযুক্ত নন।
তবে ছেলের আইনজীবীর দাবি, তার মক্কেলকে আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। নারীর ভাষ্য, তার পছন্দের পাত্রের ভাবমূর্তি ভালো। তিনি খুবই ধার্মিক। পরিবার ও আদালতের সিদ্ধান্তে হতাশ হলেও এখানেই থামছেন না ওই নারী। এ ব্যাপারে তিনি দেশের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চাইবেন।
সৌদি আরবের অভিভাবকত্ব ব্যবস্থায় নারীর জীবনের প্রায় সবই পরিবারের পুরুষ অভিভাবক বা স্বামী নিয়ন্ত্রণ করেন। এ নিয়ম অনুযায়ী, বিয়ে করতে হলে নারীকে অনুমতি নিতে হবে তার পরিবারের পুরুষ অভিভাবকের কাছ থেকে।