Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৭ মঙ্গলবার, মে ২০২৪ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

১ম ও ২য় শ্রেণির চাকরিতে কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪ অক্টোবর ২০১৮, ০৮:৫৯ PM
আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৮, ০৯:০৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের পর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহমেদ স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, সব সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত/আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন করপোরেশনে চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৯৯৭ সালের ১৭ মার্চের স্মারকে উল্লিখিত কোটা পদ্ধতি সংশোধন করে— ৯ম গ্রেড (পূর্বের প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ থেকে ১৩তম গ্রেড (পূর্বের দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করা হবে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়— ৯ম গ্রেড (পূর্বের প্রথম শ্রেণি) এবং ১০ থেকে ১৩ তম গ্রেড (পূর্বের দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো।

গতকাল বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশে নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত অর্থাৎ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে কোটা পদ্ধতি না রাখার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর আগে গত ১৭ অক্টোবর কোটা পর্যালোচনা কমিটির প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

কোটা বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদনের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছিলেন, ‘কোটা বাতিলের ফলে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থার সুবিধাভোগী জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে প্রতিফলিতব্য প্রভাব নির্দিষ্ট সময়ান্তর পর্যালোচনা করে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা যেতে পারে। অর্থাৎ ভবিষ্যতে কোন অনগ্রসর সম্প্রদায়ের জন্য কোটা রাখার প্রয়োজন দেখা দেয় তখন সরকার তা করতে পারবে।’

প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে যেসব নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে- সেক্ষেত্রে কী হবে জানতে চাইলে শফিউল আলম জানিয়েছিলেন, ‘সেগুলোতে কোন সমস্যা নেই। যেগুলো অ্যাডভারটাইজ হয়ে গেছে, সেখানে কোটার ব্যাপারে বলে দেয়া আছে- সরকার কোটার ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নেবে সেভাবেই কার্যকর হবে।’

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত ২ জুলাই কোটা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে তা সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে সুপারিশ দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে সরকার।

কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। ৮ জুলাই প্রথম সভা করে কমিটি। পরে কমিটির মেয়াদ আরও ৯০ কার্যদিবস (৩ মাস) বাড়ানো হয়।

Bootstrap Image Preview