মালয়েশিয়ায় অব্যবহৃত একটি খনির জলাশয় থেকে এক কিশোরকে উদ্ধার করতে গিয়ে ৬ ডুবুরি ডুবে মারা গেছে।
গতকাল বুধবার ডুবুরিরা ১৭ বছর বয়সী ওই কিশোরকে খুঁজতে ওই জলাশয়টিতে নেমেছিল নিহত ৬ ডুবুরি।
ডুবুরিরা জলাশয়ে নামার পর হঠাৎ ঘূর্ণিপাকে আটকা পড়ে যায়। আর সে সময় তীব্র স্রোতে তাদের শরীরের সঙ্গে লাগানো যন্ত্রপাতি খুলে যায়।
সেলানগোর রাজ্যের সেপাং জেলার ওই খনির জলাশয়টিতে বুধবার ওই কিশোর ও তার বন্ধুরা মাছ ধরতে গিয়েছিল। মাছ ধরা শুরু করার মুহূর্তে ওই কিশোর পানিতে পড়ে যায়।
জলাশয়টিতে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালাতে আসা ডুবুরিরা সব নিরাপত্তা পদ্ধতি অনুসরণ করেই পানিতে নেমেছিল বলে জানিয়েছেন সেপাং জেলার পুলিশ প্রধান আবদুল আজিজ আলি। ডুবুরিরা সবাই ডাইভিং যন্ত্রপাতিতে পরিপূর্ণভাবে সজ্জিত ছিল এবং সবাই একটি দড়ির সঙ্গে বাঁধা ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি।
আজিজ রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বেরনামাকে বলেছেন, ‘তীব্র স্রোতের কারণে সবাই পানির মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল এবং এতে তাদের যন্ত্রপাতি খুলে যায়।’
নিউ স্ট্রেইটস টাইমসকে মালয়েশিয়ার দমকল বাহিনীর মহাপরিচালক মোহাম্মদ হামদান ওয়াহিদ বলেছেন, ‘ওই জলাশয়ে একটি ঘূর্ণিস্রোতের উৎপত্তি হয়। আর তীরে থাকা একটি দল জানিয়েছে তারা ওই ছয় ডুবুরিকে এর থেকে বের আসার চেষ্টা করতে দেখেছেন।’
সহকর্মীরা তাদের উদ্ধার করার চেষ্টার মধ্যেই প্রায় আধঘণ্টা পার হয়ে যায়। যখন ওই ডুবুরিদের পানি থেকে বের করে আনা হয় তখন সবাই অজ্ঞান ছিলেন, পরে তাদের জ্ঞান আর ফিরেনি।
বেরনামাকে ওয়াহিদ আরও বলেন, ‘এই প্রথম ছয় জন একসঙ্গে মারা গেল। আমাদের জন্য খুব দুঃখের দিন এটি।’
ঘটনার দিন সকালে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় পানির একটি প্রবল ধারা জলাশয়টিতে নেমে আসার কারণেই ওই ঘূর্ণিস্রোত তৈরি হয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তে এমন ধারণা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ওয়াহিদ।
নিখোঁজ ওই কিশোরের খোঁজে আজ বৃহস্পতিবার আবারও তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।