কোটা পুনর্বহালের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করেছেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্যরা। এই দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছে ছাত্রলীগ। তারা ঢাবি থেকে একটা ছোট মিছিল নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের অবরোধে যোগ দিয়েছে।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী কোটা পুনর্বহালের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে জানান, ছাত্রলীগ তাদের সাথে থাকবে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোটা পুনর্বহালের দাবির বার্তা পৌঁছে দেব। এ সময় অবরোধকারীদের কোন ধরণের ভাঙচুর করতে নিষেধ করেন তিনি।
এদিকে বুধবার (৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৩০ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেছেন তারা।
এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মহিদুর রহমান বলেন, আজ স্পষ্টভাবে কোটা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করা হয়েছে। দেশকে এগিয়ে নিতে কোটা চালু রাখতে হবে। শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটাই নয় প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসহ সকল ধরনের কোটাই দরকার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক এএসএম সনেট বলেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
বক্তারা বলেন, চাকরিতে কোটা পদ্ধতি চালু রাখতেই হবে। মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত আমরা শাহবাগ ছাড়ব না।
আগামী শনিবার পর্যন্ত শাহবাগে অবস্থানের ঘোষণা দেন তারা। এই সময়ের মধ্যে যদি কোটা পদ্ধতি আবার পুনর্বহাল না করা হয় তবে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেবেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সদস্যরা।
এদিকে আজ বুধবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের কোটা বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে গঠিত কোটা পর্যালোচনা কমিটি গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সুপারিশ জমা দেয়। কমিটি নবম থেকে ১৩তম গ্রেড পর্যন্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে সব ধরনের কোটা উঠিয়ে দেয়ার প্রস্তাব করে। সেই প্রস্তাবটিই অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাতে রাস্তায় নেমেছেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, তারা টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেছেন।আপাতত যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমরা তাদের সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।