জানা যায়, ৩১৫ মিটার দীর্ঘ সেতুটি শ্রীপুর, কাপাসিয়া উপজেলা, ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও কিশোরগঞ্জ সদরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপিত হয়েছে। পাশাপাশি শ্রীপুর উপজেলার চারটি ও কাপাসিয়া উপজেলায় চারটি ইউনিয়নের মানুষ সেতুটি থেকে উপকৃত হবে।
আগামী বুধবার (১০ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই সেতু দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরই সেতুটি সবার চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটির উদ্বোধন করবেন বলে বিষয়টি মৌখিকভাবে আমাদের জানানো হয়েছে। ১০ অক্টোবর সেতুটির উদ্বোধন ঘিরে আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমরা একটি পাবলিক সভার মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করতে চাই। যাতে সর্বস্তরের মানুষ প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনতে পারেন।
শ্রীপুর উপজেলা প্রকৌশলী সুজায়েত হোসেন বলেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের বাস্তবায়নে জমি অধিগ্রহণ ও অ্যাপ্রোচসহ ২৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। সেতুটি নির্মাণে ২ কোটি ২৬ লাখ টাকার ১.৫২ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। সেতুটির কাজ শুরু হয় ২০১১ সালের ১০ অক্টোবর। ২০১৭ সালের ২০ জানুয়ারি সেতুর কাজ শেষ হয়। আগামী বুধবার (১০ অক্টোবর) সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহেনা আকতার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানকে ঘিরে আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমরা তিনটি স্থানকে নির্ধারণ করে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। সেখান থেকে একটি নির্ধারণ করে দেয়ার পরই অনুষ্ঠানের স্থান নির্ধারণ হবে।