এই মাছগুলিকে বলা হচ্ছে ড্রাগন ফিশ। আশির দশকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রায় তিন ফুট লম্বা মাছগুলির প্রজনন শুরু হয়েছিল। আগে এগুলি ঠিক পোষ্য মাছ ছিল না। তার পর আচমকাই রটে গেল, মাছগুলি বাড়িতে রাখলে নাকি সমৃদ্ধি বাড়ে, বাড়ে ধনসম্পদ। তার পরই মাছগুলিকে অ্যাকোয়ারিয়ামে রাখা শুরু হল।
বেশ কয়েক জন এতটাই ভালবেসে ফেলেন মাছগুলিকে যে, তাদের প্লাস্টিক সার্জারিও করা হচ্ছে। মাছগুলির চোখ বাঁকা হলে কিংবা, মাছের মুখ মালিকের পছন্দ না হলে মোটামুটি পাঁচ থেকে ছয় হাজারের মধ্যে সার্জারি করার ব্যবস্থাও রয়েছে।
ড্রাগন ফিশ বিশেষজ্ঞ এমিলে ভোগেট বলেন, মাছটিকে নিজের বাড়ির অ্যাকোয়ারিয়ামে রাখার জন্য উৎসাহ প্রবল বেড়ে যাওয়ার, এর দাম একবার পৌঁছায় প্রায় ২ কোটি ২০ লক্ষ টাকায়। তবে একটা পূর্ণবয়স্ক এশিয়ান অ্যারোয়ানার ন্যূনতম দাম সিঙ্গাপুরের বাজারে প্রায় ৫২ লক্ষ টাকা।
বিরল প্রজাতির এই মাছটি পৃথিবী থেকে হারিয়েই যেতে বসেছিল। ১৯৭৫ সালে ১৮৩টি দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে মাছটির বেচাকেনা বন্ধ হয়। এই মাছকে ঘিরে অপরাধও সংঘটিত হতে শুরু করে এর পর। সিঙ্গাপুরের বাজারে চারটি মাছ চুরি নিয়ে বড়সড় তদন্ত হয়েছিল। মালয়েশিয়ায় একজন অ্যাকোরিয়ামের মালিককে খুন পর্যন্ত করা হয়েছিল।
ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, চিনে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে এই মাছটিকে ঘিরে। মাছটি আন্তর্জাতিক বাজারে কেনাবেচা সংক্রান্ত আইনে পরবর্তীতে খানিকটা শিথিলতা এসেছে।