ইনজুরিটা মুশফিককে দিয়ে শুরু । শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচের আগে অনুশীলনের সময় তাঁর বুকে বল লাগে।প্রথমে ধারনা করা হয়েছিলো মুশফিক নাও খেলতে পারেন কিন্তু সে খেলেছে।এরপর শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচের দিন তামিম ইকবালের হাতের আঙুলে বল লাগে।তামিমের এই বল লাগার ইনজুরি এতোটাই গুরুত্বর ছিলো যে এশিয়া কাপ ছাড়তে বাধ্য হন এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান।তারপর সেমিফাইনে পাকিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সাকিবের আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়। আঙুলের সেই ব্যথা সইতে না পেরে ওইদিনই দেশে ফিরে এসে অপারেশন করান সাকিব।
সাকিব ও তামিম ইনজুরির কারণে না খেলতে পারলেও মুশফিকের মত ইনজুরি নিয়ে খেলেছেন টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা।পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে রুবেলের বলে শোয়েব মালিকের দুর্দান্ত উড়ন্ত ক্যাচ নিয়েছিলেন মাশরাফি। সাথে সাথে ডান হাতের কনিষ্ঠা থেকে রক্ত পড়তে দেখা যায়। এরপর ব্যান্ডেজ করে মাঠে নামেন তিনি। ম্যাচের পর আর এক্স-রে করান নি, সেই ইনজুরি নিয়েই ভারতের বিপক্ষে ফাইনালে খেলেছিলেন মাশরাফি।
দেশে ফিরে জানিয়েছিলেন, এখনও এক্স-রে করানো হয়নি। একদিন পর পরীক্ষা করানো হয়েছে। সেটাতে মিলেছে দুঃসংবাদ। ভেঙ্গে গেছে মাশরাফির ডান হাতের কনিষ্ঠা, ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। ঠিক হতে সময় লাগবে অন্তত দুই সপ্তাহ।
হাতের এই ইনজুরি বাদেও আছে আরও দুই ইনজুরি। ডান পায়ের উরুর মাংসপেশী ছিঁড়ে গেছে। এটা ঠিক হতে ১০ দিন লাগতে পারে। পাশাপাশি সেই উরুতে টিউমারের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আর কয়েক দিন পরেই ঘরের মাঠে শুরু হবে জিম্বাবুয়ের সিরিজ। এই সিরিজে মাশরাফি খেলবেন কিনা সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।