Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

স্পিকারের সই হলো, বাকি আছেন রাষ্ট্রপতি!

বিডিমর্নিং ডেস্ক-
প্রকাশিত: ০৩ অক্টোবর ২০১৮, ১২:২৯ PM
আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৮, ০১:৫৬ PM

bdmorning Image Preview


ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি কার্যকর হতে যাচ্ছে। জাতীয় সংসদে পাস হওয়া অন্যান্য বিলের মতো ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলটিও রাষ্ট্রপতির অনুমোদন পেতে যাচ্ছে। সংসদে পাস হওয়া বিলটিতে গতকাল মঙ্গলবার সই করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। আজ এ-সংক্রান্ত নথিটি সংসদ সচিবালয় থেকে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে পাঠানো হতে পারে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পাদক পরিষদের বক্তব্যের সমালোচনা করে ১ অক্টোবর ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, স্পিকার একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগদান উপলক্ষে বেলজিয়ামে যাওয়ার কারণে বিলটিতে যথাসময়ে সই করতে পারেননি। সোমবার তিনি দেশে ফিরে পরদিন সই করেন। ফোনে জানতে চাইলে স্পিকার বিলে সই করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সরকারের একাধিক মন্ত্রী গণমাধ্যমকে জানান, আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বা সংশ্লিষ্ট কোনো মন্ত্রী আলোচনা করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন থেকে দেশে ফেরার পর এ বিষয়ে তাঁর নির্দেশ পেতে সংশ্লিষ্টরা অপেক্ষা করছেন।

জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু গণমাধ্যমকে বলেন, বিলটি আইনে পরিণত হচ্ছে। এর পাশাপাশি আলোচনাও চলবে। বিষয়টি এমন নয় যে আইনটি থামিয়ে রেখেই সংশোধন করা হবে। আইনটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় অনুমোদন হয়ে যাবে। সরকার চাইলে যেকোনো সময় এটি সংশোধন বা সংযোজন-বিয়োজন করতে পারে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি বিলে সই করলে সেটি আইনে পরিণত হবে। এরপর সরকার যদি আইনে কোনো সংশোধনী আনতে চায়, সে ক্ষেত্রে সংসদে নতুন করে বিল আনতে হবে।

সংবিধানের ৮০ অনুচ্ছেদে বলা আছে, কোনো বিল রাষ্ট্রপতির কাছে উপস্থাপনের পর ১৫ দিনের মধ্যে তিনি তাতে সম্মতি দিয়ে সই করবেন। অর্থ বিল ছাড়া অন্য যেকোনো বিলের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি বিলটি কিংবা বিলের বিশেষ বিধান বা ধারা পুনর্বিবেচনা বা সংশোধনের জন্য সংসদে ফেরত পাঠাতে পারবেন। তবে রাষ্ট্রপতি কোনো কারণে বিলে সই করতে অসমর্থ হলে উপস্থাপনের ১৫ দিন পর তিনি বিলটিতে সম্মতি দিয়েছেন বলে গণ্য হবে। অর্থাৎ বিলটি আইনে পরিণত হবে।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে ডিজিটাল নিরাপত্তা বিল পাস হয়। প্রস্তাবিত এই আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই সম্পাদক পরিষদ ও সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো এর বিশেষ কয়েকটি ধারা নিয়ে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করে আসছে। সম্পাদক পরিষদ এই বিলের অন্তত ৯টি ধারা নিয়ে আপত্তি ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সম্পাদকেরা বলেছেন, প্রস্তাবিত এই আইন বাক্স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলে দেবে। দেশ-বিদেশের মানবাধিকার ও সাংবাদিকদের সংগঠনগুলোও আইনটির কড়া সমালোচনা করে আসছে।

সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এ মাসের শেষের দিকে বর্তমান সংসদের শেষ অধিবেশন বসতে পারে। সুতরাং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোনো সংশোধনীর প্রয়োজন হলে এই অধিবেশনে বিল উত্থাপন করতে হবে। সংসদ কার্যকর বা চলমান না থাকলে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমেও আইনে সংশোধনী আনা সম্ভব।

Bootstrap Image Preview