নাটোরের গুরুদাসপুরে খাদিজা (৭) নামে এক শিশুকে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা করে তার চাচাতো ভাই শাকিব (১৫)। এ ঘটনায় শাকিবসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজিপুর ইউনিয়নের বিলশা গ্রাম থেকে মূল অভিযুক্তসহ নিহত শিশু খাদিজার চাচাতো ভাই শাকিব (১৫),শাকিবের মা সোনালী বেগম (৩৭) ও চাচা মোর্শেদ আলীকে (৩৫) নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে ওসি মো. সেলিম রেজা জানান, খাদিজাকে ধর্ষণের পর গলাটিপে হত্যার কথা শিকার করেছে তারই আপন চাচাতো ভাই শাকিব। গত বছর ২০ ডিসেম্বর দুপুরে টেলিভিশন দেখতে গেলে শাকিব ঘরের ভেতর গামছা দিয়ে খাদিজার মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার ভয়ে সে নিজেই খাদিজাকে গলা টিপে হত্যা করে।
হত্যার দশ মাস পর ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে এসআই নূরে আলম শাকিবের বাড়ি থেকে তাদের তিনজনকে গ্রেফতার করে।
পরে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করলে শাকিব জানায়,খাদিজাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনাটি তার মা সোনালী বেগমকে জানালে তিনি স্বামী মিলন ও ভাসুর মোর্শেদকে জানান।
এরপর মোর্শেদের পরিকল্পনায় খাদিজার প্রাণহীন দেহটি বস্তায় ভরে খাটের নিচে রাখা হয়। সুযোগ বুঝে ২২ ডিসেম্বর রাত ২ টার দিকে তারা চারজন বস্তাবন্দি লাশটি পাশের পুকুরে ফেলে দেন। সকালে পুকুরে তার ভাসমান লাশ পাওয়া যায়।
পরে প্রতিবেশিদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন মনিরুল ইসলাম। তবে ভাতিজির লাশ গুমের পরিকল্পনাকারী মোর্শেদই নিখোঁজের দিন থানায় জিডি করেছিলেন। নিহত শিশু খাদিজার পিতা মনিরুল ইসলাম, চাচা মোর্শেদ ও হত্যাকারী শাকিবের পিতা মিলন আপন ভাই। তাদের বাড়ি গুরুদাসপুরের বিলশা গ্রামের ভক্তিপাড়ায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, ২০ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে নিখোঁজ হয় শিশু খাদিজা। দুই দিন পর শুক্রবার শাকিবদের বাড়ির পিছনের পুকুর থেকে শিশুটির বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়