ছোট্ট শিশু মনির। বয়স ১০ বা ১২। এতিম ছেলেটা। মা-বাবা বলতে পৃথিবীতে কেউ নেই। ভিক্ষাবৃত্তি কখনও পথের টোকাই হয়ে পেটের তাগিদে পথচলা। আর বাসস্থান বলতে কখনও রেলগেটের বস্তিতে কখনওবা রাস্তার পথের ধারে আহার ও নিদ্রা যাওয়া।
জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে রাজবাড়ীতে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় পা হারাতে বসেছে এই অনাথ শিশুটি। এখন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ব্যথায় কাতরাচ্ছে মনির। মানুষ দেখলে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সে। দুর্ঘটনার পর থেকেই রাজবাড়ীর খন্দকার রবিউল ইসলাম নামে এক সাংবাদকর্মী তাঁর ক্ষুদ্র উদ্যোগে ব্যক্তিগত অর্থ দিয়ে ওষুধ কিনে দেওয়া থেকে শুরু করে নিয়মিত খোঁজখবর নিয়ে চলেছে।
রবিউল জানায়, ডাক্তার বলেছে এই পথশিশুটির দ্রুত পা অপারেশন না করালে হয়তোবা চিরদিনের জন্য পা দিয়ে আর হাঁটতে পারবেনা। অপারেশনের জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। তাই যদি কোনো সহৃয়বান মানুষ অর্থ দিয়ে পাঁশে দাঁড়ায় তবে ছেলেটা আবার হয়তোবা ফিরে পেতে পারে তার পা খানা। হাসপাতাল সূত্র জানায়, মনিরের দ্রুত অপারেশন না করালে ওর পা চিরদিনের জন্য অকেঁজো হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাই দানশীল, সেচ্ছাসেবী সংগঠন, মহৎ ব্যাক্তিদ্বয়, প্রশাসনসহ সর্বস্থরের কাছে আকুল আবেদন জানিয়েছেন একটু সাহায্যের জন্য।
যোগাযোগের ঠিকানা, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রবিউল-ইসলাম-মোবাইল: ০১৭১২-০৮৪৮৭৬, হারুন-মোবাইল: ০১৭৪৪-৪৮৫৩০০।