Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ৩০ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

তালাবাসীকে জলাবদ্ধতা মুক্ত করেছে তালা-ডুমুরিয়া সীমান্তের কালভার্ট

এসএম বাচ্চু,তালা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০১ অক্টোবর ২০১৮, ০৭:৪৯ PM
আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৮, ০৭:৪৯ PM

bdmorning Image Preview


তালাবাসীর অভিশপ্ত জায়গা ছিলো তালা-ডুমুরিয়া সিমান্তে চন্ডিপুর সরকারী খালের উপর অর্ধশত বছর থাকা বাঁধটি। যে বাঁধটি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতো পানি নিস্কাসনের। কয়েক বছর আগে তালা সদরের সাবেক চেয়ারম্যান সাংবাদিক এস.এম নজরুল ইসলাম তালা ও ডুমুরিয়ার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাঁধটি অপসারণ করেন। সেখানে নির্মাণ করেন মিনি ব্রিজ। যার ফলে স্থায়ী জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে তালা উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষ। হাজার হাজার বিঘা জমিতে কৃষকরা ৫০ বছর ধরে ধানসহ অন্যান্য ফসল ঘরে তুলতে পারেনি। তবে বর্তমানে সেসব কৃষকদের মুখে হাঁসি ফুটেছে।

তালাবাসীকে জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্ত করার জন্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাহবুবুর রহমানের সহযোগিতায় তালা সদর ইউনিয়নের সাবেক সফল চেয়ারম্যান জাতীয় পার্টির সাতক্ষীরা জেলা শাখার সহ-সভাপতি, তালা উপজেলা সভাপতি সাংবাদিক এস,এম নজরুল ইসলাম ইউপি চেয়ারম্যান থাকাকালে তালা উপজেলা পরিষদ চত্বরে বালি ভরাট এরপর উচু করে ইটের রাস্তা নির্মাণ, বন্যার পানি নিষ্কাসনে খানপুর বতো মোড়লের বাড়ির নিকট জনগনের ট্যাক্সের টাকায় মিনি ব্রীজ, খানপুর জমির মোড়লেরর বাড়ির সামনে মিনি ব্রীজ, সাহাপুর ডাঃ ঈমান গাজীর জমির পার্শ্বে খালের উপর মিনি ব্রীজ, সাহাপুর খাঁ পাড়ার খালের উপর মিনি ব্রীজ, সাহাপুর আজিজ শেখের জমির পার্শ্বে খালের উপর ব্রীজ, শাহাপুর আব্দুর রহিম খাঁ বুদো মেম্বরের কারখানা সংলগ্ন মিনি ব্রীজ, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মহাবিদ্যালয় সংলগ্ন মুক্তার খাঁর দোকানের সামনে ব্রীজ, ভায়ড়া উত্তর বিশ্বাসপাড়া খালের উপর ব্রীজ নির্মাণ করেছেন। যার কারণে বর্তমানে তালা এখন জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্ত।

জেয়ালা ঘোষপাড়া এলাকার স্থানীয়রা জানান, চন্ডিপুর সরকারী খালের উপর বাঁধ দিয়ে তালাবাসীকে ডুবিয়ে রাখা হতো। পানি নিস্কাশন হতো না। তবে সাংবাদিক নজরুল ইসলাম চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর পাশ্ববর্তী ডুমুরিয়ার হামিদ চৌধুরী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মরহুম আবুল কালামসহ আরও অনেকে সঙ্গে কথা বলে বাঁধটি অপসারণের প্রস্তাব করেন। এ সময় ডুমুরিয়াবাসী মৃত শালতা নদী খনন করে দিলে তাদের বাঁধটি অপসারণে কোন বাঁধা নেই। পরবর্তীতে মুসলিম এইড ও কারিতাস এনজিওর সহযোগিতায় ৮ কি.মি. মৃত শালতা নদী খনন করেন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম। এরপর বাঁধ কেঁটে সেখানে ব্রিজ নির্মাণ করেন। জেয়ালা ঘোষপাড়া ও চন্ডিপুর ঘোষপাড়ার মধ্যস্থলে খালের উপর ব্রীজ নির্মাণ, পূর্ব জেয়ালা খালের উপর ব্রীজ নিমা'ন করে পানি নিষ্কাসনের ব্যবস্থা করেন। সেই থেকে এসব এলাকা জলাবদ্ধতামুক্ত। মানুষ খেতের ফসল ফলাতে পারছে।

কপোতাক্ষ নদ ভরাট হওয়ায় ফলে প্রতি বছর তালার হাজার হাজার মানুষ পানিবন্ধি হয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে উঠতো। পানিতে ডুবে থাকার কারনে খানপুর গ্রামের মাতব্বর কানাই সরদারকে কেশবপুর সন্নেরগাছা গ্রামে জামাইয়ের বাড়ির কবরস্থানে দাফন করা হয়। খানপুরের ইয়ার মাহমুদকে মনিরামপুর আত্বীয়ের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। খড়েরডাংগা সিরাজ মোড়লকে ঘোনা গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়। মাঝিয়াড়া গ্রামের মোজার বিশ্বাসকে দাফন করা হয় নগরঘাটায় গ্রামে আত্বীয়ের বাড়িতে। এসব ঘটনাগুলো জানান স্থানীয় বাসিন্দরা।

তারা বলেন, তালাঞ্চল এখন জলাবন্ধতা মুক্ত। পানি নিস্কাশনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়া স্থানগুলোকে অপসারণ করে ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণ ও রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করায় তালার মানুষ এখন জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে। তালা সদর, ইসলামকাটি, কুমিরা, তেঁতুলিয়া ও খলিলনগর ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষ এখন জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্ত।

Bootstrap Image Preview