Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১০ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

গাড়ি না থামানোয় গুলি করে হত্যা তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীকে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:৩৭ PM
আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:৩৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ভারতের উত্তর প্রদেশে গাড়ি না থামানোয় তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার এক কর্মীকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। লখনো শহরে শুক্রবার রাত দেড়টায় এ ঘটনা ঘটে। খবর ভারতীয় গণমাধ্যমের।

পুলিশ জানিয়েছে, এক মহিলা সহকর্মীকে নিয়ে এসইউভি চালিয়ে আসছিলেন ওই ব্যক্তি। গোমতীনগর এক্সটেনসনের কাছে বাইকে করে দুই পুলিশকর্মী টহল দিচ্ছিলেন। গাড়িটিকে থামাতে বলেন তাঁরা। কিন্তু আরোহী গাড়িটিকে না থামিয়ে পুলিশের বাইকে ধাক্কা মারে। তার পর পালানোর চেষ্টা করতে গিয়ে পাশেরই একটি দেওয়ালে ধাক্কা মারে।

টহলরত দুই পুলিশকর্মীর এক জন কনস্টেবল প্রশান্ত কুমার বলেন, ‘একটা গাড়িকে দাঁড়িয়ে সন্দেহজনক অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি। হেডলাইট নেভানো ছিল। গাড়ির সামনে গিয়ে দেখার চেষ্টা করি ভিতরে কেউ আছে কি না। কাছে যেতেই গাড়িটি চলা শুরু করে দেয়। তখন বাইক নিয়ে গাড়িটিকে ওভারটেক করে পথ আটকে দাঁড়াই।

বাইকটা গাড়ির সামনে রাখতেই গাড়িটি ধাক্কা মেরে বাইকটি ফেলে দেন। হাত নাড়িয়ে আরোহীকে গাড়ি থামাতে বলি। তাঁদের বেরিয়ে আসতে বলি। কিন্তু তাঁরা বেরিয়ে আসেনি। গাড়িটাকে একটু পিছিয়ে নিয়ে গিয়ে প্রচন্ড গতিতে এসে তৃতীয় বার বাইকটিতে ধাক্কা মারে। আমি পড়ে যাই। তার পর উঠে দাঁড়িয়ে পিস্তল বের করে গাড়ির আরোহীদের ভয় দেখাই। তাতেও কোনও লাভ হয়নি। উল্টে আমাদের চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। তখনই আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাই।’

তবে পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে বিবেকের মহিলা সহকর্মীর বয়ান আবার অন্য কথা বলছে। সেখানে তিনি বলেন, “দুই পুলিশকর্মী আমাদের জোর করে থামানোর চেষ্টা করে। স্যার গাড়ি থামাননি। আমরা বুঝতে পারিনি আসলে ওই লোকগুলো কারা। তবে কোনও দুর্ঘটনাই ঘটেনি। আমরা পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। তখনই বাইকে ধাক্কা লাগে। তবে বাইকে সেই সময় তাঁদের দু’জনের কেউই ছিলেন না। এক জনের হাতে লাঠি ছিল। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির হাতে বন্দুক ছিল। তিনিই গুলি ছোড়েন।

অন্য দিকে, লখনউ পুলিশের প্রধান কালানিধি নাইথানি বলেন, “গাড়িতে সন্দেহজনক কাজকর্ম লক্ষ্য করার পরেই কনস্টেবল গুলি ছোড়ে। পুলিশকে দেখে গাড়ি নিয়ে পালাতে গেলে একটি দেওয়ালে সজোরে ধাক্কা মারে। গুরুতর আহত হন। পরে মৃত্যু হয় তাঁর।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই ওই ব্যক্তির মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”

সন্দেহজনক কাজই যদি দেখে থাকে পুলিশ তা হলে ওই ব্যক্তিকে আটক করল না কেন পুলিশ? শুধুমাত্র সন্দেহের বশে কেনই বা গুলি চালাতে হল পুলিশকে? এর সদুত্তর অবশ্য পুলিশ দিতে পারেনি।

Bootstrap Image Preview