ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর সৃষ্ট সুনামিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮০ জনে। গতকাল শুক্রবার সুলাওয়েসি দ্বীপের পালু শহরে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। বিবিসির খবরে নিহতের এই সংখ্যা জানানো হয়েছে। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এদিকে ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুরয়ো নুগোরো রয়টার্সের কাছে দাবি করেছেন, ‘আমরা হালনাগাদ তথ্য পাচ্ছি না কারণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিকল হয়ে পড়েছে। সুনামির কারণে উপকূলীয় এলাকায় বহু মানুষের মৃতদেহ পাওয়া যেতে পারে। তবে এখনই নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব হচ্ছে না।’
এর আগে গত মাসেও বেশ কয়েকবার ভূমিকম্পের কবলে পড়ে ইন্দোনেশিয়া। আগস্টের ৫ তারিখে আঘাত হানা ভূমিকম্পে দেশটিতে ৪৬০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
গতকাল ভয়াবহ ভূমিকম্পের ফলে তিন লাখ মানুষ অধ্যুষিত পালু শহরজুড়ে এবং ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে পাশের মৎস্যজীবীদের শহর ডোঙ্গালার বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং এ কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে বলে দেশটির একজন মন্ত্রীর বরাতে বিবিসি জানিয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার ভূতাত্ত্বিক সংস্থা প্রধান দ্বিকরিতা কর্নওয়াতি বিবিসিকে বলেন, ‘সুনামি থেমে গেছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়, মানুষ দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করছে, ধসে যাওয়া দালানের নিচে বা উপকূলে থেমে থাকা জাহাজে কেউ আটকে আছে কি না তা দেখার চেষ্টা করছে।’
২০০৪ সালে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট সুনামিতে ভারত মহাসাগরের উপকূলজুড়ে দুই লাখ ২৬ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল। নিহতদের মধ্যে এক লাখ ২০ হাজার ইন্দোনেশীয় ছিল।
ইন্দোনেশিয়া ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। কারণ এটি ‘রিং অব ফায়ার’ নামক ভয়াবহ এক আগ্নেয়গিরির চক্রের ওপরে অবস্থান করছে। সমুদ্রপৃষ্ঠের চাইতে ওপর যাদের অবস্থান সারা দুনিয়ার এমন যত জীবন্ত আগ্নেয়গিরি রয়েছে তাদের অর্ধেকের বেশি এই চক্রের অন্তর্ভুক্ত