হৃদপিণ্ড ছিদ্র জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে তিলে তিলে নিভে যাচ্ছে মীমের জীবন প্রদীপ। মীমের বয়স সাড়ে ৩ বছর। এ বয়সে তার খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা। কিন্ত সময় কাটছে তার মৃত্যুর প্রহর গুনে। জীবন-মৃত্যুর এক অনিশ্চয়তা কেড়ে নিয়েছে তার শৈশবের দুরন্তপনা।
জন্মের পর থেকেই মীমের হৃদপিণ্ডে ছিদ্র দেখা দিয়েছে। দ্রুত অস্ত্রোপচার করতে না পারলে অকালে ঝরে যাবে মীমের জীবন। তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৬ লাখ টাকা। কিন্তু মীমের ভ্যান চালক বাবা চিকিৎসার খরচ যোগাতে পারছে না। বিনা চিকিৎসায় সন্তানের নিশ্চিত মৃত্যু জেনে শুধুই চোখের জল ফেলছেন তার মা-বাবা। সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান মানুষের একটু সহযোগীতা হাসি ফুটাতে পারে এই হতদরিদ্র পরিবারে। এমন আকুতি জানিয়ে মীমের চিকিৎসায় আর্থিক সহযোগীতা চেয়েছেন তার মা-বাবা।
মীম খাতুনের বাড়ি বগুড়ার ধুনট উপজেলার মাঠপাড়া গ্রামে। বাবা বুলবুল ইসলাম একজন ভ্যান চালক। মা রতনা খাতুন পরের বাড়িতে কাজ করেন। অভাব অনটনের সংসার। ভাই-বোনের মধ্যে মীম ছোট।
মীমের বাবা বুলবুল ইসলাম জানান, ভ্যান চালিয়ে যা রোজগার করে তা দিয়ে তার সংসার টানাপোড়েনের মধ্যে চলে। ভ্যান চালাতে না পারলে সেদিন পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে থাকেন। নিজের ভিটে মাটিও নেই। তাই মেয়ের চিকিৎসা অন্যের সহযোগীতা ছাড়া সম্ভব না।
ঢাকা ন্যাশনাল হার্ড ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটে ডাঃ একে সামস উদ্দিনের তত্তাবধানে রয়েছে মীম। কথা বলতে চাইলে মীমের দম বন্ধ হয়ে আসে। চলাচল করতে পারে না। রোগ যন্ত্রনায় কখনো কখনো শরীর নীলাভ হয়ে যায়।
মীমের চিকিৎসা সহযোগীতার আশা করছেন তার মা-বাবা। সাহায্য পাঠাতে পারেন-রূপালী ব্যাংক ধুনট শাখা বগুড়ার হিসাব নং ৫৮৩৫০১০০০১৫৮৬। হিসাবের নাম বুলবুল ইসলাম-০১৭৯৫১৮৫৪৭৫।