Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৩ শুক্রবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মনোহরদীতে রাস্তার পাশে স্ট্রিট লাইট স্থাপন, পাল্টে গেছে গ্রামীণ জীবনমান

বাকি বিল্লাহ, মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:৪৮ AM
আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:৪৮ AM

bdmorning Image Preview


নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাট, মসজিদ-মন্দিরসহ গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল এলাকা এবং কবরস্থানের পাশে স্ট্রিট লাইট বা সৌর বাতি স্থাপনের ফলে পাল্টে গেছে গ্রামীণ মানুষের জীবনমান।

সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জ্বলে উঠছে এসকল বাতি। এতে করে সৌর আলোতে ঝলমল করছে মনোহরদী উপজেলার গ্রামীণ জনপদ। চাপ কমছে জলবিদ্যুতের উপর। লোডশেডিং ঝামেলা না থাকায় সড়কের এ বাতিগুলো আলো দেয় একটানা সারারাত। ফলে কমে গেছে গ্রামীণ জীবনের রাত্রীকালীন সকল অপরাধ। আর গ্রামীণ মানুষের জীবনে লেগেছে শহুরে পরিবেশের ছোঁয়ল

মনোহরদী উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ত্রান ও দুর্যোগ অধিদপ্তরের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচী (টিআর) এবং কাজের বিনিময়ে খাদ্যকর্মসূচী কাবিখা, কাবিটা, সাধারণ এবং বিশেষ প্রকল্পের আওতায় অত্র উপজেলায় মোট ৩১২ টি স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হয়েছে।

সরেজমিন উপজেলার লেবুতলা, কাচিকাটা, চালাকচন, শুকুন্দী, বড়চাপা, খদিরপুর ইত্যাদি এলাকা পরিদর্শন করে দেখা গেছে হাট-বাজার,রাস্তা-ঘাট, মসজিদ-মন্দিরসহ গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল এলাকা এবং কবরস্থানের পাশে স্ট্রিট লাইট বা সৌর বাতি স্থাপন কারা হয়েছে। এতে এলাকার মানুষ সাচ্ছন্দে রাতে চলাচল করতে পারছে।

স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার পরই সক্রিয়ভাবে এ বাতিগুলো জ্বলে উঠছে আবার সকালের আলো ফোটার সাথে সাথে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। লাইটগুলো জালানো ও নিভানোর জন্য কোনো মানুষের স্পর্শেও প্রয়োজন হয়না।

হাররদী গ্রামের অটোচালক আব্দুল খালেক বলেন, আমাদের মুক্তিযোদ্ধা সড়কের মাথায় অনেক অন্ধকার ছিল। রাতেরবেলা টর্চ লাইট ছাড়া চলাফেরা করতে পারতাম না। কিন্তু স্টিট লাইট স্থাপন করার পর আমরা রাতের বেলা নিরাপদে চলাফেরা করতে পারছি।

মনোহরদী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের দেশের উন্নয়নের ছোঁয়ায় অন্য আরেক দৃষ্টান্ত হল গ্রামাঞ্চলের জনবহুল এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্টিট লাইট স্থাপন।

Bootstrap Image Preview