২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি বিজয়ী দল পাকিস্তান চলতি এশিয়া কাপে ব্যাটিংয়ে বাজে সময় পার করছে। শুধু ব্যাটিং বললে ভুল হবে বোলিংয়ে মোহাম্মদ আমির, হাসান আলীরা আহামরি কোনো কিছুই করতে পারছে না। তাই আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যাটিং বোলিংয়ে ভালো করার বিকল্প নেই তাদের সামনে।
চলতি এশিয়া কাপে এ পর্যন্ত চারটি ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান। একমাত্র হংকং ছাড়া ভারতের বিপক্ষে খেলা দুটি ম্যাচেই হতাশা ছড়িয়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং। আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ওভারে পায় নাটকীয় জয়। একমাত্র শোয়েব মালিক ছাড়া সবাই দিচ্ছেন ধারাবহীক ব্যর্থতায় পরিচয়।
চলতি আসরে পাকিস্তান দলের প্রথম সারির ব্যাটসম্যানদের রানের গড় দেখলে চিত্রটা আরো পরিষ্কার হবে।জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরিয়ান (২১০) ফখর জামান নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। সর্বসাকূল্যে তার রান মাত্র ৫৫। অধিনায়ক সরফরাজের রানের সমস্টি সেখানে ৫৮, আসিফ আলীর ৫৫ রান।
এশিয়া কাপের চলমান আসরে পাকিস্তান ব্যাটিং লাইন আপের প্রধান স্তম্ভ শোয়েব মালিক। ৪ ম্যাচে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৮১ রান করেছেন। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে তার অতীতটা কিন্তু সাদা-মাটা। ১৮ ম্যাচে ২৫.০৮ গড়ে ৩০১ রান করেছেন তিনি। সুতরাং শোয়েব মালিককে নিয়ে ভয়ের কিছুই নেই।
এশিয়া কাপ খেলতে আসার আগে পাকিস্তানের বোলিং নিয়ে অনেক চর্চা হয়েছে। বিশেষ করে মোহম্মদ আমির, হাসান আলিদের পেস আক্রমণ বার বার উঠে এসেছে আলোচনায়। কিন্তু মাঠে নেমে চূড়ান্ত ব্যর্থ তাঁরা।তিন পেস বোলার হাসান আলী উইকেট পিছু খরচা করেছেন ৫৫.৬৬, উসমান খান ৩৪.৬৬, মোহাম্মদ আমির উইকেটের মুখ দেখেননি চলমান আসরে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে আজকের ম্যাচে তাই ব্যাটিং ও বোলিংয়ে দুই ডিপার্টমেন্টেই ভালো করার বিকল্প নেই সরফরাজ খানদের সামনে। অন্যদেক আজ বাংলাদেশ দলকে শোয়েব মালিককে নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা করতেই হবে। তিনি আজ বাংলাদেশের জয়ের মাঝে একাই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেন। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই তিনি ব্যাট হাতে ধারাবাহীক ভাবে রান পাচ্ছেন।