কূটনৈতিক প্রতিবেদক
মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দ্বারা নির্যাতিত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে ৩টি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।
প্রথম প্রস্তাবে তিনি বলেন, মিয়ানমারকে অবশ্যই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আইন, নীতিমালা ও অনুশীলনগুলি বাতিল করতে হবে এবং জোরপূর্বক স্থানচ্যুতির মূল কারণগুলো সময়মত প্রকাশ করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, মিয়ানমারের সকল রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের জন্য সুরক্ষা, অধিকার এবং পথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে। প্রয়োজন হলে সকল নাগরিকদের রক্ষা করার জন্য মিয়ানমারের ভিতরে একটি "নিরাপদ অঞ্চল" তৈরি করুন।
তৃতীয় প্রস্তাবে তিনি উল্লেখ করেন যে, জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের সুপারিশের আলোকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক অপরাধ প্রতিরোধ করা, বিশেষ করে জবাবদিহিতা এবং ন্যায়বিচার আনয়ন নিশ্চিত করতে হবে।
গতকাল সকালে (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক সংস্থার পক্ষ থেকে Global Compact on Refugees: A Model for Greater Solidarity and Cooperation at the United Nations Headquarters নামে সেমিনারটির আয়োজন করে।
এতে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব এন্ত্যনিও গুতেরেস এবং বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইউং কিম।
প্রধানমন্ত্রী পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমারে উদ্ভূত হয়েছে এবং মিয়ানমারকেই সেটি সমাধান করত হবে। সীমান্ত খুলে দিয়ে এবং রোহিঙ্গা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে, বাংলাদেশ শুধু জীবন বাঁচায়নি, সীমান্তের মধ্যে সংকটকে স্থিতিশীল করেছি।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক জীবন ও পরিবেশে রোহিঙ্গাদের প্রভাব সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে হবে। আমরা সাময়িকভাবে রোহিঙ্গাদেরকে ভাসান চর নামে একটি দ্বীপে স্থানান্তর করবো।
তিনি আবারও পুনর্ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশে স্থায়ী আবাসনের কোন ব্যবস্থা নেই। রোহিঙ্গাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য নিজের দেশে ফিরে যেতে হবে।