Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৯ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মিয়ানমারে হস্তক্ষেপের অধিকার নেই জাতিসংঘের: মিন অং হ্ণেইং

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০১:৫০ PM
আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০১:৫০ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


মিয়ানমারের সেনাপ্রধান সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্ণেইং বলেছেন, তার দেশে হস্তক্ষেপের কোন অধিকার জাতিসংঘের নেই। সম্প্রতি রোহিঙ্গা নিপীড়নে গণহত্যা চালানোর প্রমাণ পাওয়ার দাবি করে জাতিসংঘ। প্রতিক্রিয়ায় মন্তব্য করলেন মিয়ানমারের সেনাপ্রধান।

জাতিসংঘের আহ্বানে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর সংঘটিত অপরাধের প্রাথমিক তদন্ত শুরু করার পর এই প্রথম মিন অং হ্ণেইং এ বিষয়ে মুখ খুললেন।

দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের মানবাধিকার নিয়ে জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর গতকাল রোববার প্রথম প্রতিক্রিয়া জানান সেনাপ্রধান। সেনাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন,'কোনো দেশ, সংস্থা বা গোষ্ঠীর হস্তক্ষেপের বা দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই জাতিসংঘের।'

গত ১৮ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। একইদিন জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে উপস্থাপন করা পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদনে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য মিয়ানমারের সেনাপ্রধান ও জ্যেষ্ঠ পাঁচ জেনারেলকে বিচারের মুখোমুখি করার কথা বলা হয়ে।

এর আগে গত ২৭ আগস্ট এক প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা গণহত্যায় সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্টতা নিয়ে এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘ জানায়, সেনাবাহিনীর সঙ্গে বেসামরিক কর্তৃপক্ষও এই গণহত্যায় ইন্ধন জুগিয়েছে। রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চিও তার সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই সহিংসতা থামাতে ব্যর্থ হয়েছেন।

জাতিসংঘ জানায়, রাখাইনে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ নিয়ে মিয়ানমার সরকারের প্রত্যাখ্যান ও অস্বীকারের মাত্রায় তারা অবাক হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত সেনা কর্মকর্তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা উচিত বলে মন্তব্য করা হয় প্রতিবেদনটিতে। সেখানে ছয়জন সেনা কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয়। যার মধ্যে ছিলেন সেনাপ্রধানও।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে শুরু হয় সেনাবাহিনীর অভিযান। এর ফলে গত এক বছরে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে।

Bootstrap Image Preview