Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৯ বৃহস্পতিবার, মে ২০২৪ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আটক ১০ লক্ষাধিক উইঘুর মুসলিমের বিষয়ে পরিষ্কার জানতে চেয়েছে অ্যামনেস্টি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক-
প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:৪২ AM
আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৯:৪৩ AM

bdmorning Image Preview


চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনচিয়াং প্রদেশে বেআইনিভাবে আটক রাখা ১০ লাখের বেশি উইঘুর মুসলিমের কী হবে, সোমবার এক নতুন প্রতিবেদনে উইঘুরদের বিষয়ে পরিষ্কার পদক্ষেপ নিতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। ১০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে ‘কাউন্টার-এক্সট্রিমিজম সেন্টারগুলোয়’ আটক রাখা হয়েছে বলে সম্প্রতি জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়।

১০ লাখ উইঘুর মুসলিমকে ‘কাউন্টার-এক্সট্রিমিজম সেন্টারগুলোয়’ আটক রাখা হয়েছে। এই মুসলিম সংখ্যালঘু ব্যক্তিদের যুদ্ধের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সমালোচকেরা বলছেন, এতে বেইজিংয়ের ওপর অসন্তোষ বাড়ছে এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাবকে উসকে দেওয়া হচ্ছে।

সেন্টারগুলোর মানুষকে উদ্ধৃতি করে নতুন ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, শিবিরগুলোয় নজরদারি, রাজনৈতিক মতবাদ এবং বাধ্যতামূলক সাংস্কৃতিক আত্তীকরণে সরকারি প্রচারণা চালাচ্ছে বেইজিং। এতে বলা হয়, উইঘুর ও মুসলিম সংখ্যালঘুদের দাড়ি ও বোরকা নিষিদ্ধ করার নিয়ম অমান্য করার জন্য এবং অননুমোদিত কোরআন শরিফ পাঠের জন্য শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের বাধ্য করা হচ্ছে নিজেদের ধর্ম ইসলামকে অস্বীকার করতে, ইসলামি মূল্যবোধ বিসর্জন দিতে এবং প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা কমিউনিস্ট পার্টির প্রচারে সংগীত গাইতে।

গত মাসে চীনের উগ্রপন্থীবিরোধী রাজনৈতিক শিবিরগুলোয় উইঘুর সম্প্রদায়ের ১০ লাখ মুসলিমকে আটক রাখা হয়েছে বলে দাবি করে জাতিসংঘ। তবে জাতিসংঘের এ দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি চীন সরকার।

চীনের পশ্চিম অঞ্চলে অবস্থিত স্বর্ণ, তেল ও গ্যাসসম্পদে সমৃদ্ধ শিনচিয়াং প্রদেশে মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। তাঁরা উইঘুর সুন্নি মুসলমান। তাঁরা চীনা নয়, তুর্কি ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্গত উইঘুর ভাষায় কথা বলেন। বিচ্ছিন্নতাবাদ ও ধর্মীয় জঙ্গিবাদের হিংসাত্মক তৎপরতা রয়েছে এই প্রদেশে। উইঘুর জঙ্গিদের প্রধান সংগঠন ইস্ট তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্টকে (ইআইটিএম) যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করেছে। জাতিসংঘ জানায়, এত বিপুলসংখ্যক উইঘুর আটকের ঘটনা উদ্বেগজনক। উইঘুরের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলকে বেইজিং এমন অবস্থা করেছে যে সেটাকে অন্তরীণ করে রাখার মতো বলা যায়।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পূর্ব এশিয়া বিভাগের পরিচালক নিকোলাস বেকুইলিন এক বিবৃতিতে বলেন, এই বড় ধরনের আটকের ফলে হাজার হাজার পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের ভাগ্যে কি ঘটেছে, তা জানতে চাইছে। চীন সরকারের এখন সময় এসেছে এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার। এই শিবিরের বিষয়ে বেইজিং প্রতিবেদন দিতে অস্বীকার করলেও সরকারি দস্তাবেজে ছাড়া পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে, যার মাধ্যমে এখানকার অবস্থা সম্পর্কে জানা যায়।

Bootstrap Image Preview