মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ১১ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সুমন মিয়া (৩২) মারা গেছেন। নিহত সুমন হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামের । তিনি ওই গ্রামের আহাদ মিয়ার পুত্র।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ৮ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ায় তার বাসা থেকে কর্মস্থলে যাবার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে মালয়েশিয়ার ১টি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১১ দিন হাসপাতালে সুংগায়বুলু হাসপাতালে চিকিংসাধীন থাকার পর আজ মৃত্যুর সাথে লড়াই করে অবশেষে মারা গেলেন সুমন নামের হবিগঞ্জের এই যুবক।
গত ১১ সেপ্টেম্বর তার দেশে ফেরার কথা ছিল টিকেটও কনফার্ম করা হয়েছিল। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস বাড়িতে আসা তার আর হলো না, অবশেষে লাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে থাকে।
প্রতিবেশীরা জানান, দুই ভাই ও এক বোনের মাঝে সুমন মিয়া ২য়। পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে প্রায় ১০ বছর আগে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমায় এই যুবক। প্রায় আড়াই বছর আগে সুমন দেশে ফিরেছিল।
মালয়েশিয়ার বাংলাদেশের এমব্যাসি সূত্রে জানা যায় , গত ৮ সেপ্টেম্বর কোতা দামানসারা সিলাংগর এলাকায় সাড়ে ৯টায় বাস স্টপেজের অপেক্ষারত যাত্রীরা উঠার সময় পেছন থেকে আসা দ্রুতগামী একটি প্রাইভেট কার তাদের উপর উঠে যায়। ঘটনাস্থলে ৯ বাংলাদেশি যাত্রী আহত হয়। এ সময় ৯ জন বাংলাদেশিকে সুংগায়বুলু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে একজন সুমন মিয়া।
সুমনের ছোট ভাই ধর্মঘর ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলামিন জানান, মালয়েশিয়া থেকে তার ভাইয়ের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এদিকে সুমনের মৃত্যুতে তার পরিবার সহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।