Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ০৪ শনিবার, মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

তরুণীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ার পর হত্যাই ছিল তার কাজ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৩:৫৭ AM
আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৩:৫৭ AM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


প্রেমের অভিনয় করে তরুণীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়াই ছিল তার প্রধান কাজ। একাধিক তরুণীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ ও হত্যা করেছেন তিনি। করেছেন ৪টি বিয়ে তার পরেও থামেনি অপকর্ম।

এবার রুমি আক্তার (১৬) নামে টাঙ্গাইলের এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে সিলেটের বিশ্বনাথে নিয়ে ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করে শফিক মিয়া। এ ঘটনায় মঙ্গলবার শফিক মিয়াকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শফিক বিশ্বনাথের রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা।

বুধবার(১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন সিলেটের এসপি মো. মনিরুজ্জামান।  প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে  কিশোরী রুমি আক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে শফিক বলেও জানান এসপি।

পুলিশ সুপার বলেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্বনাথের রামপাশা ইউনিয়নের একটি বাড়ির পাশ থেকে অজ্ঞাত এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর তার মোবাইল ফোন নম্বরের সূত্র ধরে এ হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে শফিক টাঙ্গাইলের নাছির গ্লাস ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। ফ্যাক্টরি থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে চারটি বিয়ে করেছেন শফিক। বিশ্বনাথ থানায় গণধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি শফিক।

এসপি মনিরুজ্জামান আরও বলেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি ছিল মির্জাপুর থানার আতাউর রহমানের মেয়ে রুমি আক্তার। একই হাসপাতালে শফিকের শাশুড়িও চিকিৎসাধীন ছিল। সেখানে ওই কিশোরীর সঙ্গে শফিকের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের অভিনয় করে রুমিকে সিলেট নিয়ে আসেন শফিক। এরপর তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে।

এ ঘটনায় শফিকসহ এ পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শফিক রুমিকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার শফিককে আদালতে তুলে রিমান্ড চাওয়া হবে।

গ্রেফতার শফিক দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়ে সুন্দরী তরুণীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বেডরুমে নিত এবং একের পর এক হত্যা ও ধর্ষণ করে বেড়াত বলেও জানান এসপি মনিরুজ্জামান।

Bootstrap Image Preview