পরিবারের পক্ষ থেকে জোর করে বিয়ে দেবার চেষ্টা করায় ঝিনাইদহের মহেশপুর নেপা ইউপির কুল্লাহ দাখিল মাদ্রাসার নাছিমা খাতুন নামে ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।
নাছিমা খাতুন ইউপির খোশালপুর গ্রামের নাসির উদ্দীনের কন্যা।
এলাকাবাসী ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, দাদী ও পরিবারের লোকজন আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর নাছিমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একই ইউপির পার্শ্ববর্তী মাইলবাড়ীয়া গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে ইনামুল (২৫) এর সঙ্গে জোর পূর্বক বিবাহ করতে বাধ্য করে। এসময় দাদীর সাথে নাছিমার বাক বিতর্কের এক পর্যায়ে ঝগড়া চলতে থাকে।
এতে নাছিমা ২ রাত ২ দিন না খেয়ে জীবন যাপন করে। অবশেষে বিবাহ ঠেকাতে পারবে না ভেবে রবিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে দাদীর উপর অভিমান করে নিজ বাড়িতে বিষপান করে।
পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত উদ্ধার করে নেপা মোড় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু বলে ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর পূর্বে সে চিঠিতে লিখে যায়, আমি কোন খারাপ মেয়ে না। আমি আমার দাদীর অকথ্য কথা সহ্য করতে না পেরে বিষপান করে মারা যাচ্ছি। আমার মৃত্যুর জন্য আমার দাদী দায়ী।