Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ সোমবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পাতড়াবুনিয়া শ্মশান ও কালীমন্দিরের দখলীয় জায়গাকে দখল মুক্ত করার ঘোষণা

আব্দুল ওহাব বাবলু, পাইকগাছা প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:৪২ AM
আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০৮:৪৩ AM

bdmorning Image Preview


পাইকগাছায় শেষ পর্যন্ত পাতড়াবুনিয়া শ্মশান ও কালীমন্দিরের দখলীয় জায়গাকে অবৈধ দখল মুক্ত করার খবর পাওয়া গেছে।

সপ্তাহব্যাপী দু'পক্ষের আমিন দ্বারা পরিমাপ ও কাগজপত্র পর্যালোচনা শেষে শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধায় দীর্ঘ সময় শালিশী সভার আয়োজন করা হয়। এ সময় আয়োজকরা প্রতিপক্ষ আছাদুল-ফরহাদ গাইন গংদের দু'দিনের মধ্যে স্থাপনা অপসারণের কথা বলেছেন।

এ ঘটনায় এলাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে স্বস্তির খবর পাওয়া গেছে। শশ্মান ও কালীমন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত গড়ইখালীর বাবু গাইনের হস্তক্ষেপে অসাধ্য কাজ সাধন হতে চলেছে।

স্থানীয়রা জানান, দু’উপজেলা সীমান্তে শুড়িখালী বাজারের পার্শে এসএ ৩৩৫ খতিয়ানে ৪০৪ কিছু অংশসহ ৫০৬ ও হাল ১২৪৯ দাগে ২১ শতক সম্পত্তিতে পাতড়াবুনিয়াতে এ দুটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বহুকাল পূর্বে প্রতিষ্ঠিত রয়েছে।

ইতোপূর্বে একই দাগ খতিয়ানের ক্রয় সম্পত্তি দাবি করে স্থানীয় হাজী রহিম সানার ভাই আছাদুল ও ছেলে ফরহাদ সানা শ্মশান কালীমন্দিরের দখলীয় জমিতে ব্যবস্যা প্রতিষ্ঠান তৈরিতে বাঁধার চেষ্টা করলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা সম্ভব হয় নি।

এলাকাবাসীর অভিযোগ ফরহাদ'রা সর্বশেষ গত ১৫ আগস্টে বহিরাগতদের নিয়ে জোর করে বিরোধপূর্ণ এ জমিতে একাধিক টিন সেডের ঘর  বেঁধে দখল করে। এ ঘটনায় ২৬ আগস্ট দু'টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের নেতৃবৃন্দর মধ্যে দীনেশ মন্ডল, নভতোষ মন্ডল, সুভাষ সরকার, পুলিন সরকার, রবেন্দ্র সরদারসহ অর্ধশত ব্যক্তি প্রতিকার চেয়ে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ করা হয়।

এ সময় তিনি গড়ইখালী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিলে অজানা কারণে তা আলোরমুখ দেখেনি বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। এর আগে ঘর বাঁধার মৌখিক খবর পেয়ে ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মোঃ আব্দুল আউয়াল প্রতিনিধি পাঠিয়ে কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা দিলেও তা প্রতিপক্ষরা আমলে নেয় নি বলে মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন।

স্থানীয় ভবতোষ মন্ডল জানান, এ সম্পত্তি নিয়ে তিনি পাইকগাছার জজ কোর্টে দেওঃ ১৯১- ১৪ মামলা করলে কোর্ট উভয়কে নিষেধাজ্ঞা দিলেও ফরহাদ ঘর বেঁধে কোর্ট অবমাননা করেছেন। এ অভিযোগ এড়িয়ে তাদের সম্পত্তিতে ঘর বাঁধার কথা জানান ফরহাদ গাইন।

দু'পক্ষ জানিয়েছেন, সংকট সমাধানে এক পর্যায়ে ইউনিয়ন যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু গাইনের মধ্যস্থতায় সপ্তাহ ধরে সার্ভেয়ার সুভাষ সরকার, দীনেশ মন্ডল ও কেএম ফজলুল হক জরিপ চালিয়ে দুই থানার সীমানা চিহ্নিত করে পরিমাপ সম্পন্ন করেন।

সর্বশেষ শুক্রবার সন্ধায় শুড়িখালীতে কয়রা আমাদীর ভারঃ চেয়ারম্যান প্রশান্ত বাইনের সভাপতিত্বে দু'পক্ষের লোকজন নিয়ে শালিশী সভায় কাগজপত্রের দেখা শুনার পর মূল আয়োজক বাবু গাইন দু'দিনের মধ্যে ফরহাদ গংদের অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেবার কথা জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পূজাউদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণপদ মন্ডল, সদস্য বিজন রায়, চান্নির চক এলসি কলেজিয়েটে'র সভাপতি অমলেন্দু বাছাড়, ইউপি সদস্য অমলেন্দু সানা, সাবেক সদস্য আব্বাস মোল্লা, পুলিন মন্ডল, প্রশান্ত মন্ডল, গৌরপদ মন্ডল, আছাদুল - ফরহাদ গাইনসহ অনেকে।

সর্বশেষ শ্মশান ও কালীমন্দিরের নেতৃবৃন্দ শনিবারে এ সম্পত্তিতে সাইনবোর্ড দিয়ে দখলে নেন বলে জানা গেছে।

Bootstrap Image Preview