জাবালে নূর পরিবহনের মালিক ও চালকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া তাদের অব্যাহতি দেন আদালত। এছাড়া দুই আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম কায়সারুল ইসলাম এই চার্জশিট গ্রহণ করেন। এসময় আগামী ১ অক্টোবর গ্রেফতার-সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।
জানা যায়, রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় দায়ের করা সেই মামলায় জাবালে নূর পরিবহনের মালিক মো. শাহাদাত হোসেন আকন্দ (৬০), চালক মাসুম বিল্লাহ (৩০), হেলপার মো. এনায়েত হোসেন (৩৮), চালক মো. জোবায়ের সুমন (৩৬), বাস মালিক মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৫) ও হেলপার মো. আসাদ কাজীর (৪৫) বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করা হয়। তবে আসামি জাহাঙ্গীর আলম ও আসাদ কাজী পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
আসামিদের মধ্যে শাহদাত হোসেন, মাসুম বিল্লাহ ও জোবায়ের সুমন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আর মো. সোহাগ আলী ও মো. রিপন হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত ৬ সেপ্টেম্বর ডিবি পুলিশ উত্তর ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর কাজী শরীফুল ইসলাম ঢাকা সিএমএম আদালতে এই চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে মোট ৪১ জনকে সাক্ষী এবং বিভিন্ন আলামত জব্দ দেখানো হয়, যার মধ্যে ৩টি বাস ও ৩টি ড্রাইভিং লাইসেন্স রয়েছে।
এর পূর্বে, গত ২৯ জুলাই দুপুরে জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার থেকে নামার মুখে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা ১৫/২০ শিক্ষার্থীকে চাপা দেয় জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুই শিক্ষার্থী। আহত হন ১৫/২০ শিক্ষার্থী। ওই ঘটনায় ২৯ জুলাই রাতে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নিহত শিক্ষার্থী দিয়া খানম মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম এ মামলা দায়ের করেন। পরে গ্রেফতার আসামিরা আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।