নিজস্ব প্রতিবেদক-
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বিজিবিএম, পিবিজিএম, বিজিবিএমএস, পিএসসি,জি সোমবার ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের "১৫তম কর্নেল কমান্ড্যান্ট" হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছেন। পরে তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সদস্যদের উদ্দেশে দরবার গ্রহণ করেন।
চট্টগ্রাম সেনানিবাসস্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টাল সেন্টারে সেনাপ্রধান এসে পৌঁছালে রেজিমেন্টের একটি চৌকষ দল তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরবর্তীতে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের জ্যেষ্ঠ অধিনায়ক এবং জ্যেষ্ঠ সুবেদার মেজর সেনাবাহিনী প্রধানকে 'কর্নেল কমান্ড্যান্ট' এর র্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেন। সেনাপ্রধান ১৯৭১ সালে শহীদদের স্মরণে নির্মিত ‘অজানা শহীদ সমাধি’তে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
জেনারেল আজিজ আহমেদ কর্নেল কমান্ড্যান্ট হিসেবে অভিষিক্ত হওয়ার পর ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে উপস্থিত সকল অধিনায়কগণের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে একবিংশ শতাব্দীর কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকার জন্য রেজিমেন্টের সকল সদস্যের প্রতি আহবান জানান। অনুষ্ঠানে সেনাসদর ও স্থানীয় ফরমেশনের উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বাঙালি মুসলিম সৈনিকদের সাহসিকতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ক্যাপ্টেন গনি বাঙালি মুসলিমদের নিয়ে একটি পৃথক রেজিমেন্টের স্বপ্ন দেখেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৪৮ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি ১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালো রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কর্তৃক নিরস্ত্র বাঙালির উপর অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে সর্বপ্রথম এ রেজিমেন্টের বাঙালি সৈনিকেরা ইপিআর সদস্যদের সাথে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থানরত ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৫টি ব্যাটালিয়নের বাঙালি সৈনিকেরাই মুক্তিবাহিনীর প্রধান চালিকা শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়। এ রেজিমেন্টের প্রথম বাঙ্গালী কমান্ড্যান্ট কর্নেল এম এ জি ওসমানী মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে সর্বমোট ৪৫টি ব্যাটালিয়ন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতায় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টসমূহ আধুনিক অস্ত্রসজ্জে সজ্জিত একটি চৌকষ পদাতিকবাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।