Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ রবিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিলুপ্তির পথে জয়পুরহাটের ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:৩০ AM
আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:৩০ AM

bdmorning Image Preview


জয়পুরহাট প্রতিনিধি:

দিন বদলের সাথে সাথে মাটির তৈরী সামগ্রীর স্থান দখল করেছে সিলভার, এ্যালুমিনিয়াম, প্ল্যাস্টিক ও মেলামাইনের জিনিসপত্র। এসবের ভীরে ক্রমেই হাড়িয়ে যাচ্ছে মৃৎশিল্প। প্রাচীনকাল থেকেই মাটির তৈরী বিভিন্ন তৈজসপত্র, খেলনা, মাটির তৈরী ব্যাংকসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ব্যাপক হারে ব্যবহার করত মানুষ।

যুগের পরিবর্তন এবং মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের সাথে ঐতিহ্যবাহী মাটির তৈরী দ্রব্যাদি আজ মূল্যহীন হয়ে পড়েছে। সেই বাজার দখল করে নিয়েছে এ্যালুমিনিয়াম, প্ল্যাস্টিক ও মেলামাইনের জিনিসপত্র। সেইসাথে মানুষ আজ ভুলতে বসেছে মাটির তৈরী জিনিস-পত্রের ব্যবহার। অথচ কিছুদিন আগেও মাটির তৈরী তৈজসপত্রের পসরা সাজিয়ে বসত উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে। দূর দূরান্ত থেকে মানুষজন কুমারবাড়ী আসত জিনিসপত্র কিনতে।

শল্পীরা মনের মাধুরী মিশিয়ে রঙতুলির কাজ করে দ্রব্যগুলোকে আকর্ষণীয় করে তুলত। কিন্তু আজ কুমাররা ভরসা হারিয়ে ফেলছেন তাদের পূর্বপুরুষদের এ পেশায়। জীবিকার তাগিদেই মৃৎশিল্পীরা অনেকেই ছেড়ে দিচ্ছেন তাদের পৈর্তৃক পেশা।

 

জয়পুরহাট সদর উপজেলার তেঘর গ্রামের নারায়ন জানান, মৃৎশিল্পের প্রয়োজনীয় উপকরণ এঁটেল মাটি, লাল মাটি, জ্বালানি খড়ি ইত্যাদির দাম অনেক বেড়ে গেছে। আগে মাটি সংগ্রহ করতে কুমারদের কোন টাকা লাগত না। সহজেই মাটি পাওয়া যেত। এখন টাকা দিয়েও ভাল মাটি পাওয়া যায় না।

এ বিষয়ে জয়পুরহাট সদর উপজেলার মাধাইনগরের রতণ পাল জানান, আমরা পূর্ব পুরুষের সূত্র ধরে এ পেশার সাথে জড়িত ছিলাম। এক সময় মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে নিয়ে যেত। কিন্তু আজ এগুলো নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়ালেও কেউ নিতে চায় না। এ ছাড়াও বর্তমানে বাজারে উৎপাদিত পণ্যের মূল্য ও প্রয়োজনীয় উপকরণের মূল্যের মধ্য রয়েছে বিশাল ব্যবধান। এ কারণেও অনেকেই দীর্ঘদিনের পৈতৃক এ পেশার উপর আস্থা হারাচ্ছেন।

মৃৎশিল্পিদের অভিযোগ, তাদেও প্রতি কেউ নজর রাখে না। যদি সরকারি বা বেসরকারি সংস্থা তাদেও সহজ শর্তে ঋণ দিত ও তাদেও উৎপাদিত দ্রব্যাদি ব্যবহারের ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করত তাহলে তাদের পেশার প্রসার ঘটত।

Bootstrap Image Preview