ধুনটে শিশু শিক্ষার্থীকে গাছে বেধে পিটিয়ে জখম

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শামীম আহম্মেদ (১২) নামে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। শামীম আহম্মেদ উপজেলার হাসখালী গ্রামের মাফেজ আলীর ছেলে। সে কান্তনগর সরকারী প্রাথামীক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।

আজ শনিবার সকাল ১১টায় উপজেলার হাসখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে একই গ্রামের সাইফুল ইসলামের পরিবারের লোকজন রাস্তা থেকে গাছের ঝরা পাতা কুড়িয়ে এনে মফেজ আলীর বাড়ির সীমানায় স্তুপ করে। এ সময় মফেজ আলীর ছেলে শামীম আহম্মেদ পাতাগুলো সরে নিয়ে যেতে বলে। এতে শামীম আহম্মেদেরে উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে সাইফুল ইসলাম।

এক পর্যায়ে শামীম আহম্মেদকে গাছের সাথে বেধে রেখে সাইফুল ও তার ছেলে রানা পিটিয়ে জখম করেছে। এ সময় স্থানীয় লোকজন আহত শামীমকে উদ্ধার করে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।

স্কুলছাত্র শামীমের মা সাহারা খাতুন বলেন, সাইফুলের পরিবারের লোকজন গাছপালার পাতা কুড়ে এনে আমার ঘরের পাশে রাখেন। সেই পাতা সরানোর কথা বলাই তারা আমার ছেলেকে গাছের সাথে বেধে রেখে পিটিয়ে আহত করেছে।

এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, গাছের পাতা সরানোর বিষয় নিয়ে শামীম আমাকে গালিগালাজ করছিল। এ সময় ক্ষুদ্ধ হয়ে তাকে চড় থাপ্পড় মেরেছি। তবে গাছের সাথে বেধে রাখার অভিযোগ সঠিক না।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মাহমুদুল হাসান বলেন, শামীমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে ফুলা জখম করা হয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মোঃ এরফান বলেন, স্কুল ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনার কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।