Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মাসে ৫০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইকেলে কর্ডএইডকে সহায়তা করছে দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:৩৪ PM
আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:৩৫ PM

bdmorning Image Preview


ঢাকা শহরের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে নানা উদ্যোগ হাতে নিয়েছে দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশন। এ প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে কর্ডএইড বাংলাদেশের রিসাইক্লিং ফর দ্য এনভায়রনমেন্ট বাই স্ট্রেংদেনিং ইনকাম অ্যান্ড লাইভলিহুড অব এনটারপ্রেনারস– রেজিলিয়েন্ট নামক নতুন একটি প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রকল্পটির লক্ষ্য হলো দুই সিটি করপোরেশনে ছয়টি কারখানার মাধ্যমে প্রতি মাসে ৫০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইকেল করা।

রিসাইক্লিংয়ের জন্য নিরাপদ ও দক্ষতার সঙ্গে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কল্যাণ নিয়ে কাজ করাই প্রকল্পটির উদ্দেশ্য। এ প্রকল্প ইকোসিস্টেম থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে টেকসই জীবিকা নির্বাহের জন্য উদ্যোক্তা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।  প্রকল্পের সময়কালে (১২ মাসে) রেজিলিয়েন্ট ৪২০ জন সুবিধাভোগীর জীবনে ইতিবাচক প্রভাব রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে আছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং ২০ জন বর্জ্য সংগ্রহকারী।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ০৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুর রউফ নান্নু বলেন, “বর্জ্য সমস্যা আমাদের শহরের জন্য অন্যতম একটি বড় সমস্যা। পরিবেশগত সমস্যার পাশাপাশি বর্জ্য দূষণের কারণে নাগরিকদের নানা রকম স্বাস্থ্য সমস্যায়ও ভুগতে হচ্ছে। এই সমস্যার মোকাবেলায় সরকার নানা ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তবে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের জন্য সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতেরই অংশগ্রহণ জরুরি।”    

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৪০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাজী মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ঢালী বলেন, “সরকারের একার পক্ষে সম্পূর্ণভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সহজসাধ্য বিষয় নয়। তাই, এর সাথে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং কমিউনিটি অর্গানাইজেশন এর সম্পৃক্ততা প্রয়োজন। দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগিতায় কর্ডএইড বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তা পরিবেশ থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য কমিয়ে পরিবেশ ও প্রতিবেশ উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করছি।”

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান কর্ডএইডের প্রতিনিধি বলেন, প্যাকেজড পণ্যের চাহিদা যতদিন থাকবে, বর্জ্য সমস্যাও ততদিন থাকবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও এই সমস্যা কমিয়ে আনতে বিকল্প উপায় খুঁজে বের করা আমাদের নাগরিক দায়িত্ব। রিসাইক্লিং বা সার্কুলার ইকোনমি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর সমাধান হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

দ্য কোকা-কোলা ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট সাদিয়া ম্যাডসবার্গ বলেন, বাংলাদেশে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অনানুষ্ঠানিক খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। মূল্যবান সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে ব্যবসায়িক মডেল, জ্ঞান ও সক্ষমতার উন্নতি ঘটিয়ে প্রকল্পটি এই খাতের উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে।

সম্প্রতি, এসআর এশিয়ার “ইনটিগ্রেটেড ম্যানেজমেন্ট অফ প্লাস্টিক অ্যাসর্টমেন্ট অ্য্যন্ড কনট্রিবিউশন টুওয়ার্ডস গ্রিন ইকোনমি (ইমপ্যাক্ট-জিই)” নামক প্রকল্পে তহবিল প্রদান করেছে ফাউন্ডেশনটি। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো একটি কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি গড়ে তোলা এবং স্থানীয় বায়ু, পানি ও ভূমি দূষণ কমিয়ে আনা।

Bootstrap Image Preview