Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দেশে বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ৭০

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২২, ১১:৫৮ PM
আপডেট: ২৩ জুন ২০২২, ১১:৫৮ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


দেশে বন্যাকবলিত এলাকায় এ পর্যন্ত পানিতে ডুবে, বজ্রপাতে এবং সাপের কামড়ে ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২৬ জন। 

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম এ তথ্য দিয়েছে। 

সম্প্রতি দেশের সিলেট বিভাগে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম বৃহস্পতিবার থেকে বন্যার তথ্য দেওয়া শুরু করেছে। প্রথম দিনের তথ্যে বলা হয়েছিল সিলেট, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগে বন্যায় ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরদিন ২২ জুন কন্ট্রোল রুম ৪২ জনের মৃত্যুর তথ্য জানায়। 

এ ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ১৭ জুন থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত বন্যাকবলিত এলাকায় ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একদিনে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে সিলেট বিভাগে। এই বিভাগে এ পর্যন্ত ৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিলেট বিভাগের চার জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে সুনামগঞ্জ জেলায়। এই জেলায় এখন পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপর বেশি মৃত্যু হয়েছে সিলেট জেলায়। জেলাটিতে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ বিভাগের হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলায় মারা গেছে যথাক্রমে ১ ও ৩ জন।

সিলেটের পর বন্যায় বেশি মৃত্যু হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে। এই বিভাগে মারা গেছে ১৮ জন। এ বিভাগের ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও জামালপুর জেলায় পাঁচজন করে মারা গেছে। শেরপুর জেলায় মারা গেছে তিনজন। রংপুর বিভাগের কয়েকটি জেলাতেও বন্যা দেখা দিয়েছে। বিভাগের কুড়িগ্রাম জেলায় তিনজন ও লালমনিরহাট জেলায় একজন মারা গেছে বলে কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে। 

বন্যা উপদ্রুত এলাকায় বেশি মৃত্যু হচ্ছে পানিতে ডুবে। এ পর্যন্ত পানিতে ডুবে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর বজ্রপাতে ১৪ জন মারা গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, বন্যাকবলিত এলাকায় ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে ৪ হাজার ৪৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৮৯৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭৯ জন। এরমধ্যে সিলেট বিভাগে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৮৬ জন।

বৃষ্টি আর উজানের ঢলে সিলেটের হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। শহর থেকে গ্রামে বন্যায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। তবে সিলেটের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। বন্যায় জেলা শহরের সঙ্গে সদর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জ উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্কসহ সারা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বন্যাকবলিত উপজেলার বাসিন্দারা। 

Bootstrap Image Preview