Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

২৪ ধরনের মাদক ব্যবসায় ধনীর দুলালিরা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ এপ্রিল ২০২২, ০১:৫০ AM
আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২২, ০১:৫০ AM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী


দেশে ছড়িয়ে পড়ছে ভয়ঙ্কর মাদক ক্রিস্টাল মেথ বা আইস ও ইয়াবা। এর পাশাপাশি দেশের বাজারে ছড়িয়ে পড়ছে নতুন মাদক ম্যাজিক মাশরুম, খাট, এলএসডি ও ডিএমটি, ড্যান্ডি, এস্কাফ। এতে আসক্ত হয়ে পড়েছে তরুণ-তরুণীরা। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বলছে, রাজধানীতে নতুন এসব ভয়ঙ্কর মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েছে ধনী পরিবারের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা। অনেকে অধিক লাভের আশায় আইস ও ইয়াবার ব্যবসায়ও জড়িয়ে পড়ছে। এতে শঙ্কিত অভিভাবক মহল।

সম্প্রতি কয়েকজন শিক্ষার্থী ও ধনী পরিবারের সন্তান গ্রেফতারের পর চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সূত্র জানায়, পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনের মধ্যবর্তী নৌপথ দিয়ে দেশে আসছে ভয়ঙ্কর মাদক আইস। কখনও আচার, কাপড়ের প্যাকেট, কখনও চায়ের ফ্লেভারের প্যাকেটে। টেকনাফে আইসের চালান কয়েক স্থানে মজুদ রাখা হয়। এরপর সুযোগ বুঝে বিভিন্ন যানবাহনে করে রাজধানীতে অভিজাত এলাকার পৌঁছে যাচ্ছে। আইসের কোন চালান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক জব্দ হলে কোন ধরনের পেমেন্ট নেয় না মিয়ানমারের মাদক কারবারিরা। গত এক বছরে শত কোটি টাকার আইস দেশে পাচার করা হয়েছে।

গবেষণা মতে, যেসব দেশে যুবশক্তি বেশি সেখানে মাদক কারবারিদের নজর থাকে অনেক বেশি। সেসব স্থানে মাদকের বিস্তার ঘটানোর জন্য মাদক কারবারিরা নানা কৌশল গ্রহণ করে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশ্বের সব দেশের সামগ্রিক অবস্থা জানা সহজ হওয়ায় টার্গেট করা স্থানে মাদকের বিস্তারে যোগাযোগ চালায় কারবারিরা। এরপর তারা পাচারের নানা কৌশল নেয়।

২০১৮ সালে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা প্রায় ৩৬ লাখ। এর মধ্যে ১৮ বছর বা এর বেশি বয়সী মাদকাসক্ত আছে প্রায় ৩৫ লাখ ৩৫ হাজার। ৭ বছরের বেশি কিন্তু ১৮ বছরের কম বয়সী মাদকাসক্ত শিশু-কিশোর আছে ৫৬ হাজারের কিছু বেশি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, দুই মাসে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা প্রায় ৫০ কেজি আইস ও ৫ লাখ ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে। যার বাজার মূল্য প্রায় শতকোটি টাকা। আর গত বছর আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হাতে প্রায় ৩৮ কেজি আইস উদ্ধার হয়। চলতি বছর র‌্যাব ও বিজিবির হাতে জব্দ আইস ও ইয়াবার বাজারমূল্য প্রায় ৫৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিজিবি এখন পর্যন্ত প্রায় ১৩ কেজি আইস তথা ক্রিস্টাল মেথ উদ্ধার করেছে। র‌্যাব এখন পর্যন্ত ১৯ কেজি আইস উদ্ধার করেছে। কোস্টগার্ড ১ কেজি আইস উদ্ধার করেছে। এছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর ৪ কেজি আইস উদ্ধার করেছে।

গত বছর র‌্যাব, পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড মাদকের বিরুদ্ধে ৮৬ হাজার ২৮৪টি অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে ১ লাখ ১২ হাজার ৬০৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ৪ কোটি ৮৩ লাখ ৮৩ হাজার ৯০৬ পিস ইয়াবা, ৪১৫ কেজি হেরোইন, দেড় কেজি কোকেন, ৬৯ কেজি আফিম, ৭৫ হাজার ৯৮০ কেজি গাঁজা, ৫ লাখ ৩২ হাজার ৭৩০ বোতল ফেনসিডিল, ২ লাখ ৫ হাজার ৩১৪ বোতল বিদেশী মদ ও ৮৯ হাজার ৭৪টি ইনজেকটিং ড্রাগ উদ্ধার করা হয়।

মাদকের ভয়াবহতা:  দেশে যেভাবে নিত্যনতুন মাদক ঢুকছে তা ভাবিয়ে তুলছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে। গড়ে প্রতি মাসে প্রায় আট হাজার অভিযান চালানো হলেও কমানো যাচ্ছে না মাদকের আনাগোনা। এর মাঝে বেড়ে চলেছে গাঁজা ও ইয়াবার আমদানি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের ডিন ড. জিয়া রহমান জানান, মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে হলে আগে সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে হবে। তা না হলে নানা ফাঁকফোকর দিয়ে দেশে মাদক ঢুকবেই। মাদক নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিতে হবে। শুধু বাহককে ধরে মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। যত প্রভাবশালীই হোক না কেন এর পেছনে নেপথ্য নায়কদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

সূত্রগুলো জানায়, মহামারী করোনাভাইরাসের মধ্যে সব থমকে গেলেও এসব মাদকের ব্যবসা রমরমা ছিল। লঞ্চ, ট্রেন ও আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও থেমে ছিল না মাদক পরিবহন। প্রতিনিয়তই বিভিন্ন পন্থায় এসব মাদক আনা-নেয়া বহাল রয়েছে। জরুরী পণ্য পরিবহনের আড়ালে কয়েক ধাপে খুচরা বিক্রেতাদের মাধ্যমে তা পৌঁছে যাচ্ছে ক্রেতা অর্থাৎ মাদকসেবীদের হাতে। এমনকি হোম ডেলিভারির মাধ্যমেও মাদক বিক্রি হয়। গত কয়েক মাসে পুলিশ, র‌্যাবসহ বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভয়ঙ্কর নতুন মাদক ম্যাজিক মাশরুম, ক্রিস্টাল মেথ বা আইস, খাট, এলএসডি ও ডিএমটি, ড্যান্ডি, এস্কাফ, ইয়াবা, ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ মাদকদ্রব্যের বড় বড় চালান ধরে। কাঁচামালের আড়ালে, পিকআপ ভ্যানের পাটাতনে, এমনকি এ্যাম্বুলেন্সের ইঞ্জিনের ভেতর থেকেও এসব মাদক জব্দ করা হয়েছে।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সূত্র জানায়, অভিযানের মাধ্যমে মাদকের কারবার নিয়ন্ত্রণ করতে তারা বদ্ধপরিকর। মাদকের চাহিদা এত বেশি যে সীমান্ত থেকে একবার ঢাকায় নিয়ে এলে অনেক বেশি দামে বিক্রি করতে পারে তারা। এসব সেবনকারী ৮০ শতাংশ তরুণ-তরুণী। সারাদেশে প্রায় ১৫ লাখ তরুণ-তরুণী এসব মাদক সেবনে আসক্ত। সেবনকারীরাই বিক্রেতাদের অনেকটা পাগল করে দেয় মাদকের জন্য।

যেভাবে তরুণ-তরুণীরা মাদক সেবন ও ব্যবসায়ে জড়িয়ে পড়ে: ছোট বেলায় মাকে হারিয়েছে হাসান। বাবা বিয়ে করে তাকে ছেড়ে চলে গেছে। কিশোর হাসান এখন ইয়াবা আসক্ত। মাদক বেচাকেনা করে। এক সময় ফুটপাথে ভাঙ্গারি কুড়িয়ে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করত। ফুটপাথে ঘুমিয়ে পড়ত। পরে এলাকার বড়ভাই তাকে ডেকে নিয়ে কামরাঙ্গীরচর পূর্ব রসূলপুর এলাকায় ইয়াবা কেনাবেচার কাজে নামিয়ে দেয়। কিশোর হাসান জানায়, আমার কাজ পুলিশ দেখলে যেন ইশারায় ইয়াবার কারবারিকে সর্তক করে দেই। যাতে তারা নিরাপদে সটকে পড়তে পারে। সেই থেকে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে এভাবে নিরাপত্তার কাজ করে যাচ্ছি। নিজে ইয়াবা আসক্ত হয়ে পড়েছি। আমার মতো অনেক কম বয়সী ছেলেরা এখানে অনেকে পাহারাদার হিসেবে কাজ করছে।

ধনী পরিবারের শিক্ষিত সন্তান রোহিত হোসেন মালয়েশিয়া থেকে পড়াশোনা শেষ করে দেশে ফিরে বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। উত্তরায় একটি মার্কেটের মালিক তার বাবা। এক পর্যায়ে বন্ধুদের সঙ্গ দোষে ইয়াবায় আসক্ত হয়ে পড়েন। একদিন শখের বসে আইস খান। এরপর বন্ধু বান্ধবদের কাছে আইস বিক্রি শুরু করেন। তার বন্ধু রুবায়েত লন্ডনের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে এসে বাবার গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠান দেখাশোনা করতেন। পরবর্তীতে তার মাধ্যমে রুবায়েতও আইস মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েন। বন্ধুদের মধ্যে বাবর হেরোইন সেবন করতেন। এরপর আইস মাদকে আসক্ত হন। বাবর পেশায় কিছু করেন না। ধনী পরিবারের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা ভয়ঙ্কর মাদক আইস ও ইয়াবা সেবনে আসক্ত। গত বছর ২১ আগস্ট রাজধানীর অভিজাত এলাকা উত্তরা, বনানী, বসুন্ধরা, বারিধারা ও খিলগাঁও বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০ ধনীর দুলালিকে ৫০০ গ্রাম আইস ও পাঁচ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার গ্রেফতার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর।

প্রতি বছর মাদকের পেছনে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা নষ্ট হচ্ছে ॥ দেশে প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ লাখ মাদকাসক্ত রয়েছে। প্রতি বছর মাদকের পেছনে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা নষ্ট হচ্ছে। বর্তমানে শিশু ও নারীদের মধ্যে মাদকাসক্তের সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে ছেলেদের মতো মেয়েরাও অবলীলায় ইয়াবা গ্রহণ করছে। বিগত ১০ বছরে মাদকাসক্তির কারণে ২০০ মা-বাবা খুন হয়েছেন। গত বছর ১ নবেম্বর সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে মিট দ্য প্রেসে শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাস এবং সমাজকল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা (স্কাস) এর আয়োজন এক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা জানান। এই যে কিশোর গ্যাং নামের অপসংস্কৃতি- এই গ্যাং তৈরির পেছনেও রয়েছে মাদক। মাদকের কারণে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বহু মেধাবী শিক্ষার্থী। ভাঙছে সমাজ, সংসার ও পরিবার। মাদকের টাকা জোগাড় করতে মা কিংবা বাবার গলায় ছুরি ধরছে সন্তান। খোদ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের হিসেবে দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা প্রায় ৭৫ লাখ। এর তিন ভাগের দুই ভাগই তরুণ।

২৪ ধরনের মাদক চলে বাংলাদেশে:  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে এখন পর্যন্ত ২৪ ধরনের মাদক উদ্ধার হয়েছে। দুই প্রতিবেশী দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এসব মাদক। মাদকের প্রবেশপথ হিসেবে বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন ৩২টি জেলাকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (ডিএনসি)। ঢাকা বিভাগের প্রধান ও সংস্থাটির অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান জানান, রাজধানীতে ভয়ঙ্কর আইসসহ নতুন ধরনের মাদক কারবারি রয়েছে কমপক্ষে ৫ হাজার।

দেশে মাদকাসক্ত সংখ্যা:  ২০১৮ সালে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের এক সমীক্ষা বলা হয়, দেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা প্রায় ৩৬ লাখ। এর মধ্যে ১৮ বছর বা এর বেশি বয়সী মাদকাসক্ত আছে প্রায় ৩৫ লাখ ৩৫ হাজার। ৭ বছরের বেশি কিন্তু ১৮ বছরের কম বয়সী মাদকাসক্ত শিশু-কিশোর আছে ৫৬ হাজারের কিছু বেশি। অবশ্য এ পরিসংখ্যানের সঙ্গে একমত নয় দেশের এনজিওগুলো। তারা দাবি করছে, বাংলাদেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা ৭৫ লাখেরও বেশি। মানস-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরী জানান, বাংলাদেশে ৭৫ লাখ মাদকসেবী রয়েছে। যাদের ৮০ শতাংশই তরুণ। তারা একাধিক মাদকে আসক্ত। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর কোন পরিসংখ্যানকেই অস্বীকার করছে না। কারণ এ নিয়ে তাদের নিজস্ব কোন গবেষণা নেই। তারা সর্বোচ্চ সংখ্যাটাকে বিবেচনা করেই বার্ষিক পরিকল্পনা সাজায়।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, আইস মাদকসেবীদের কাছে ক্রিস্টাল মেথ বা ডি মেথ একটি স্নায়ু মাদক। আইস অত্যন্ত ভয়াবহ উত্তেজনাকর ও গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল মাদক। এটি গ্রহণে হরমোন উত্তেজনা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। ফলে শারীরিক ও মানসিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয় মাদকসেবী। এটি সেবন করলে হার্ট এ্যাটাক ও স্ট্রোক হতে পারে। এটি সেবনের ফলে অনিদ্রা, অতি উত্তেজনা, স্মৃতিভ্রম, মস্তিষ্ক বিকৃতি, স্ট্রোক, হৃদরোগ, কিডনি ও লিভার জটিলতা এবং মানসিক অবসাদ ও বিষণœতা তৈরি হয়। ফলে আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। এই মাদক প্রচলনের ফলে তরুণ-তরুণীদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখা যায়। মাদকাসক্তরা নানা অপরাধে জড়িত হয়ে পড়ছে। ম্যাজিক মাশরুম, এলএসডি ও ডিএমটি মাদক সেবনকারী একই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এটি সেবনে এক সময় তারা মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়। অথবা পাগল হতে পারে।

সূত্রঃ জনকণ্ঠ/ নিয়াজ আহমেদ লাবু ॥ 

Bootstrap Image Preview